মাঙ্কি পক্স ঠেকাতে দেশের বিমানবন্দর, স্থলবন্দরে জারি সতর্কতা

বিশ্বজুড়ে মাঙ্কি পক্স সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দেশের বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও সীমান্ত কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে সংক্রমণের খবর মেলায় সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সমস্ত বিমানবন্দর এবং কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে সতর্কবার্তা জারি করল।

কেন্দ্রের নির্দেশ, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা যাত্রীদের মাঙ্কি পক্সের লক্ষণগুলি আছে কি না, সে বিষয়ে কড়া নজর রাখতে হবে। দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল, সফদারজং হাসপাতাল এবং লেডি হার্ডিঞ্জ হাসপাতালকে মাঙ্কি পক্সের জন্য চিকিৎসার নোডাল কেন্দ্র হিসাবে চিহ্নিত করেছে।

এর আগে রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পি কে মিশ্র এম পক্স নিয়ে দেশের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে রোগ শনাক্তকরণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ভারতে এম পক্স আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি।


কেন্দ্রের এক সূত্র জানিয়েছে, গত সপ্তাহে রাজ্য ও ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (এনসিডিসি) সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। এটি একটি সেলফ লিমিটেট ভাইরাস। কোভিডের সঙ্গে এমপক্সের কোনও সম্পর্ক নেই। নোডাল অফিসাররা ইতিমধ্যেই হাসপাতালে রয়েছেন। আইসিএমআরের ৩২টি কেন্দ্রে পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। এম পক্সের উপসর্গ অনেকটা চিকেন পক্সের মতো।

আফ্রিকার ১০ দেশে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কি পক্স বা এম পক্স। আক্রান্তদের মধ্যে বড় অংশই অল্পবয়সি। আফ্রিকার ১০টি দেশে দশ হাজারের বেশি আক্রান্তে হদিশ মিলেছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে মাঙ্কি পক্সকে গ্লোবাল এমার্জেন্সি ঘোষণা করেছে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বা WHO।

২০২২ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মাঙ্কি পক্স নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে হু। ২০২২ সাল থেকে মোট ১১৬টি দেশে এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান মিলেছে। তবে যেটা নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তা তা হল, এই রোগের নতুন একটি স্ট্রেন, যা সাধারণত যৌন সংক্রমণ থেকে ছড়াচ্ছে।

হু এর মহা-পরিচালক টেড্রোস আধানম জানিয়েছেন, মাঙ্কি পক্সের সংক্রমণ ঠেকাতে সব দেশকে একত্রে কাজ করতে হবে। কঙ্গোর বিশাল জনগোষ্ঠী এই রোগে আক্রান্ত। সেখানকার মানুষ অন্য দেশে গেলে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা থাকছে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।