বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি ভারতের

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। (File Photo: IANS/PIB)

নিউ দিল্লি: হাসিনার বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী রীতিমতো সরকার সুর চড়াচ্ছে। শোনা যাচ্ছে জামাতপন্থীদের হুঙ্কার। এর প্রেক্ষিতেই ভারত আরও বেশি করে হাসিনার সুরক্ষা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিন স্তরের সিকিওরিটি কভার রাখা হচ্ছে হাসিনাকে ঘিরে। থাকছে এয়ারফোর্সের গরুড় বাহিনীর কমান্ডো ফোর্স। ন্যাশনাল সিকিওরিটি গার্ড এবং দিল্লি পুলিশ। এবার মোতায়েন করা হচ্ছে আধা সামরিক বাহিনীও। হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের পিছনে একটি বড়সড় প্লট ছিল বলেই নিশ্চিত প্রমাণ মিলছে। তাই নয়াদিল্লি মনে করছে, হাসিনা বা তাঁর বোন রেহানার হামলা চালাতে জঙ্গি প্রবেশ করতেই পারে। সেকারণেই বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নিতে চাইছে না ভারত সরকার। দিল্লির সীমান্ত এবং জম্মু-পাঞ্জাব সীমান্তে হাই অ্যালার্ট করা হয়েছে। এয়ারফোর্সের অতিথিশালার পর সার্কিট হাউসে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। হাসিনার নিরাপত্তা বাড়িয়ে বস্তুত, বস্তুত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকেও কড়া বার্তা দিচ্ছে ভারত।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং নয়াদিল্লির মধ্যে কূটনৈতিক সৌজন্য রক্ষার বার্তা দেওয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আড়ালে চলছে চাপা স্নায়ুর লড়াই। অন্তর্বর্তী সরকার স্পষ্টই বুঝিয়ে দিয়েছে, ভারত যদি স্থায়ীভাবে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার নীতিই নেয়, তাহলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রত্যাশিত মাত্রায় বন্ধুত্বপূর্ণ হবে না। উল্টো দিকে নয়াদিল্লি পাল্টা বার্তায় বুঝিয়ে দিচ্ছে, ভারত সরকারই নিজেদের নীতি ঠিক করবে। এক্ষেত্রে কোনও শর্ত অথবা দর কষাকষির প্রশ্নই নেই। সেটা বোঝানোর জন্যই বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা আরও কঠোর করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দু’বার তাঁর আবাসস্থল বদলে ফেলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে হাসিনা যতদিন চাইবেন ততদিনই তিনি ভারতের আশ্রয়েই থাকবেন। একমাত্র স্বয়ং হাসিনা যদি নিজে অন্য কোনও দেশে যেতে চান এবং সেই দেশ যদি নিশ্চিত রাজনৈতিক আশ্রয় দেয় তবেই বিষয়টিতে অনুমোদন দেওয়া হবে।