দিল্লি, ২৩ এপ্রিল – বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের আতঙ্ক। এই পরিস্থিতিতে নিজের নিজের দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে মজবুত করতে কোমর বেঁধে নেমেছে পৃথিবীর শক্তিশালী দেশগুলো।তালিকায় রয়েছে ভারতও। শক্তির এই প্রতিযোগিতায় সামরিক ব্যয়ে বিশ্বের তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে ভারত । ২০২৩ সালে প্রতিরক্ষা খাতে ও সেনাকে অত্যাধুনিক উপকরণে সমৃদ্ধ করতে ভারত খরচ করেছে ৮৪ বিলিয়ন ডলার। বিশ্ব তালিকায় আমেরিকা, চিন ও রাশিয়ার পরেই জায়গা করে নিয়েছে ভারত।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সমীক্ষা অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী যুদ্ধের আবহে গত ৩৫ বছরের মধ্যে সামরিক ব্যয় সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠেছে। বিশ্বের সামরিক ব্যয় গত বছর ২.৪ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় ৬.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই তালিকায় সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে আমেরিকায়। গত বছর সামরিক খাতে তারা ব্যয় করেছে ৯১৬ বিলিয়ন ডলার, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চিন। শেষ আর্থিক বছরে প্রতিরক্ষা খাতে তাদের ব্যয় ২৯৬ বিলিয়ন ডলার। রাশিয়া খরচ করেছে ১০৯ বিলিয়ন ডলার এবং চতুর্থ স্থানে থাকা ভারতের খরচের পরিমাণ ৮৪ বিলিয়ান ডলার। অর্থাৎ তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকলেও বাকি ৩ দেশের তুলনায় ভারতের সামরিক খাতে খরচের ব্যবধান অনেকটাই।
ভারতের পর এই তালিকায় যথাক্রমে রয়েছে সৌদি আরব – ৭৬ বিলিয়ন ডলার, ব্রিটেন -৭৫ বিলিয়ন ডলার, জার্মানি-৬৭ বিলিয়ন ডলার, ইউক্রেন- ৬৫ বিলিয়ন ডলার, ফ্রান্স- ৬১ বিলিয়ন ডলার এবং জাপান- ৫০ বিলিয়ন ডলার। এই তালিকায় অবশ্য পাকিস্তানের স্থান অনেকটাই নিচে। রিপোর্ট মাফিক, সামরিক খাতে মাত্র ৮.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে তালিকায় ৩০ তম স্থানে জায়গা করেছে ভারতের প্রতিবেশী দেশ।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে লাদাখের গালওয়ান ঘাঁটিতে লালফৌজের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির পর প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে উন্নততর করার লক্ষ্যে সামরিক খাতে খরচের পরিমাণ ব্যাপকহারে বাড়িয়েছে ভারত সরকার। সেনাবাহিনীর আধুনিকরণের পাশাপাশি অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান, হেলিকপ্টার, যুদ্ধজাহাজ, রকেট, মিসাইল আমদানির পাশাপাশি আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পে দেশেও তৈরির কাজ চলছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৬.৫ লক্ষ কোটি টাকা। রিপোর্ট বলছে, ২০২২ সালেও সামরিক খরচের নিরিখে বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ স্থানে জায়গা করে নিয়েছিল ভারত, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় ছিল ৮১.৪ বিলিয়ন ডলার।