প্রথম আদিবাসী হিসাবে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিকের আসনে বসলেন দ্রৌপদী মুর্মু । ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে সোমবার শপথ নিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। সংসদের সেন্ট্রাল হলে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা।
শপথ নেওয়ার আগে এদিন সকালে রাজঘাটে গিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন নতুন রাষ্ট্রপতি। বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও দেখা করেন দ্রৌপদী মুর্মু।
শপথপর্বে কারা-কারা উপস্থিত থাকবেন তা নিয়ে যেমন জল্পনা ছিল তেমনি দ্রৌপদীর বসন নিয়েও কৌতহূল ছিল পুরোদমে।
জল্পনা শোনা গিয়েছিল যে, রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেওয়ার সময় বছর চৌষট্টির দ্রৌপদী তার সনাতনী সাঁওতালি শাড়িই বেছে নিতে পারেন।
কারণটা ছিল শনিবারই এমনই একটি শাড়ি নিয়ে দিল্লি পাড়ি দিয়েছিলেন দ্রৌপদীর ভ্রাতৃজায়া সুকরি টুডু। তবে শেষ পর্যন্ত শপথ গ্রহণে দ্রৌপদীকে সেই শাড়ি পড়তে দেখা যায়নি।
যদিও নতুন রাষ্ট্রপতির পোশাক নিয়ে সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতি ভবনই নেয়। সোমবার সকালে দেখা গেল, সাঁওতালি নয়, তেরঙ্গা শাড়িতে শপথ নিলেন দ্রৌপদী।
সাংবিধানিক রীতি অনুযায়ী সেন্ট্রাল হলে শপথ বাক্য করার পর সংসদের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা দেন নব নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি। দ্রৌপদী মুর্মুও এদিন শপথ বাক্য পাঠের পর সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দিয়েছেন।
তিনি সংক্ষেপে যা বলেন তা হল, “আমার নির্বাচনই প্রমাণ দেশের গরিবরা স্বপ্ন দেখলে তা সার্থকও করতে পারেন”। “এক সময়ে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করাই আমার স্বপ্ন ছিল”।
“আমি দেশের যুব সম্প্রদায়কে বলতে চাই, শুধু নিজের ভবিষ্যতের কথাই ভেবো না, দেশের ভবিষ্যতের জন্য ভিত গড়ার কথাও ভাব। রাষ্ট্রপতি হিসাবে আমি সবসময়ে তোমাদের পাশে থাকব।”“দেশের প্রান্তিক মানুষের কল্যাণই হবে আমার লক্ষ্য।”
উল্লেখ্য, দ্রৌপদী মুর্মু হলেন ভারতের প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি স্বাধীন দেশে জন্মগ্রহণ করেছেন। শপথগ্রহণের পর প্রথা মেনে তাঁকে ২১ বার বন্দুকের তোপ দিয়ে সম্মান জানানো হয়।
সোমবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপ রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক।
জানিয়ে রাখি, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বয়স এখন ৬৪। জনজাতি কল্যাণে ও বিশেষ করে ওড়িশার জনজাতি শ্রেণির শিক্ষা ও আর্থ সামাজিক কল্যাণের জন্য তিনি পঞ্চায়েত স্তর থেকে কাজ করেছেন।