• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

ইন্টারনেট বন্ধে বিশ্ব রেকর্ড ভারতের

টানা সাত মাস একটানা বন্ধে মণিপুর সবার ওপরে দিল্লি, ২৫ মে-– নানা দেশ উন্নতির রেকর্ড করে৷ ইন্টারনেট ব্যবহারে নানা আবিষ্কার-উন্নতির রেকর্ড করে৷ কিন্তু ভারত যে রেকর্ড সৃষ্টি করল তাকে কি বলা যায় তাই এখন প্রশ্নের৷ এক-দুই নয় পর পর টানা ছয় বছর ইন্টারনেট বন্ধ রাখায় বিশ্বে এক নম্বরে নিজের নাম লেখাল ভারত৷ সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ডিজিট্যাল অধিকার

টানা সাত মাস একটানা বন্ধে মণিপুর সবার ওপরে
দিল্লি, ২৫ মে-– নানা দেশ উন্নতির রেকর্ড করে৷ ইন্টারনেট ব্যবহারে নানা আবিষ্কার-উন্নতির রেকর্ড করে৷ কিন্তু ভারত যে রেকর্ড সৃষ্টি করল তাকে কি বলা যায় তাই এখন প্রশ্নের৷

এক-দুই নয় পর পর টানা ছয় বছর ইন্টারনেট বন্ধ রাখায় বিশ্বে এক নম্বরে নিজের নাম লেখাল ভারত৷ সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ডিজিট্যাল অধিকার নন-প্রফিট সংস্থা ‘অ্যাকসেস নাও’-এর একটি রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্য৷ দেখা গিয়েছে, ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে মোট যত ইন্টারনেট বন্ধের ঘটনা ঘটেছে, তার ৪১ শতাংশই ঘটেছে ভারতে৷ সংস্থা জানিয়েছে, গত বছর ৩৯ দেশে মোট ২৮৩ ইন্টারনেট বন্ধ রাখা বা শাটডাউনের ঘটনা ঘটেছে৷ যার ১১৬-টি ঘটনাই ঘটেছে ভারতে৷ যার মধ্যে কুকি-মেইতেই দ্বন্দ্বে জ্বলতে থাকা মণিপুর সবচেয়ে দীর্ঘতম ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটে থেকেছে৷ সেখানে ইন্টারনেট বন্ধ ছিল মোট ২১২ দিন৷

রিপোর্ট বলছে, ২০২৩ সালে হিংসাত্মক ঘটনার জন্য সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট বন্ধের ঘটনা ঘটেছে৷ মোট ১৭৩-টি শাটডাউনের ঘটনা ঘটেছে হিংসাত্মক ঘটনার প্রেক্ষিতে৷ দেশের ভিত্তিতে হিসেব করলেও দেখা গিয়েছে, তার আগের বছরের নয়টি দেশের তুলনায় ২০২৩ সালে দশটি এমন দেশের হিসেব দেখা গিয়েছে, যেখানে এক বছরের চারবারের বেশি ইন্টারনেট বন্ধ থেকেছে৷ ২০২২ ও ২০২৩, দুই বছরই শাটডাউনের হিসেবে শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ভারত, ইরান, মায়ানমার, ইউক্রেন৷ এই প্রসঙ্গে ‘অ্যাকসেস নাও’-এর এশিয়া প্যাসিফিক পলিসি অধিকর্তা রমণজিত সিংহ চিমা একটি সর্বভারতীয় ডিজিট্যাল সংবাদসংস্থাকে বলেন, ‘শুধু ইন্টারনেট বন্ধই নয়, তার পাশাপাশি সেন্সরশিপ বা ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ ইত্যাদি সবকিছুই একটা ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদকে প্রমাণ করে৷ আজকের এই বৈদু্যতিন যুগে এটা শুধু মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়, ভারতের ‘ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া’ দর্শনের সঙ্গেও বেমানান৷’

২০২৩ ও ২০২৪ সাল যেন ভারতের কাছে প্রতিবাদের বছর৷ সে মহারাষ্ট্রে মারাঠাদের বিক্ষোভ হোক বা লাদাখে সোনম ওয়াংচুকের পশ্চিমা পদযাত্রা৷ সব ক্ষেত্রেই সরকার আগেভাগেই ব্যবস্থা করে রেখেছে৷ প্রথমেই আগেভাগে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে৷ এই বছর যেমন এখনও অবধি ১৩ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ইন্টারনেট শাটডাউন হয়েছে৷ যার সাতটিতে শাটডাউন পাঁচবার বা তার বেশি হয়েছে৷ তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আঘাত পড়েছে মণিপুরের ওপর৷ ২০২৩ থেকে পুরো রাজ্য জুড়ে টানা সাত মাস ইন্টারনেট বন্ধ থেকেছে৷ শুধুমাত্র তিন দিন অল্প করে কিছু চালু হয়েছিল৷ জম্মু ও কাশ্মীরে ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছে ১৭ বার৷ আগের বছর বিহারে মাত্র একবার ইন্টারনেট বন্ধ হলেও ২০২৩-এর হিসেবে ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছে ১২ বার৷ হরিয়ানায় ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছে ১০ বার৷ পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের প্রতিটিতে এক বছরে মোট পাঁচবার বন্ধ থেকেছে ইন্টারনেট৷