২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর ভারতকে বিশ্বর তৃতীয় অর্থিনীত এবং আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । সেই লক্ষ্যে নানান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি বন্ধ করে দেশেই তৈরী শুরু হয়। সঙ্গে সেই প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানিতে এগোতে থাকে ভারত। ভারত এবার রফতানি আরও বাড়াচ্ছে। আগামী ৫ বছরে ভারতের লক্ষ্য এই রফতানি বার্ষিক ৫০ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়া। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের রফতানি রিপোর্ট পেশ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সেই রিপোর্টে বিস্তৃতভাবে রফতানির বৃদ্ধির উল্লেখ্য রয়েছে। তারপরই একথা জানান প্রতিরক্ষা দফতরের আধিকারিক।
ভারত বর্তমানে বিশ্বের ৮৫টি দেশে সেনা সরঞ্জাম রফতানি করে। দেশের প্রায় ১০০টি সংস্থা এই প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে যুক্ত। মিশাইল, রকেট, সাঁজোয়া গাড়ির মতো প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ভারত থেকে কেনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। গত দশ বছরের বিদেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি যেমন বেড়েছে, তেমনই প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি কমেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের কাছে ভরসাস্থল হওয়ার কারণেই প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ভারত থেকে কিনতে আগ্রহী বিশ্বের নানান দেশ ।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসি রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে ৬ হাজার ৯১৫ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করা হয়েছে। যা গত অর্থবর্ষের এই সময়কালের থেকে ৭৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে ৩ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করা হয়েছিল।
চলতি বছরের এপ্রিলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছিল, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি ৩২.৫ শতাংশ বেড়েছে। ওই অর্থবর্ষে মোট ২১ হাজার কোটি টাকার বেশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি হয়েছিল। প্রথমবার প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের রফতানি ২১ হাজার কোটির গণ্ডি ছুঁয়েছিল। তার আগে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১৫ হাজার ৯২০ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করেছিল ভারত। ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষের তুলনায় গত ১০ বছরে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি ৩১ গুণ বেড়েছে। ২০২৮-২৯ অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি ৫০ হাজার কোটি টাকা করা লক্ষ্য।