প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে বাংলাদেশ। যদিও এই বন্যার জন্য প্রতিবেশী দেশ ভারতকে দুষেই চলেছে। বারবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতকে দায়ী করে নানা পোস্ট করা হচ্ছে। কখনও গোমতীর জল, কখনও আবার ফরাক্কার জলে ছেড়ে জেনে বুঝে বাংলাদেশকে জলে ডোবানো হয়েছে বলে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে বাংলাদেশ তরফে। বলা হচ্ছে ফরাক্কার ১০৯টি গেটের সবগুলিই খুলে দেওয়া হয়েছে। তাই নাকি বাংলাদেশে এমন প্লাবন। কিন্তু ফরাক্কা ব্যারাজ, তাই জল আটকে রাখতে পারে না। দু’দিন ধরে চলা এই বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে এবার জবাব দিল ভারত সরকার। জানিয়ে দিল, জানিয়েই জল ছাড়া হয়েছে।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেন, ‘অনেক ফেক ভিডিয়ো, গুজব, ভুল বোঝানোর মতো বিষয় দেখতে পাচ্ছি। মিডিয়া রিপোর্টে লেখা হয়েছে ফরাক্কা ব্যারাজ থেকে ১১ লক্ষ কিউসেক জল গঙ্গায় বা পদ্মায় ছাড়া হয়েছে। কিন্তু এটা তো প্রতি বছরই হয়। বর্ষায় জলস্তর এমনিই বেড়ে যায়। ফরাক্কা তো ড্যাম নয়, ব্যারাজ। নির্দিষ্ট স্তরের পর জল তো বয়ে যাবেই। প্রোটোকল মেনে জয়েন্ট রিভার কমিশনের বাংলাদেশের আধিকারিকের সঙ্গে ডেটাও ভাগ করা হয়। এবারও তার অন্যথা হয়নি।’