ইসলাম-ভীতি সংক্রান্ত  প্রস্তাবনায় ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকল ভারত

দিল্লি, ১৬ মার্চ – ইসলাম-ভীতি সংক্রান্ত  প্রস্তাবনায় ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকল ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জের  সাধারণ সভায় পাকিস্তান ও চিনের তরফে ইসলাম ভীতি নিয়ে খসড়া প্রস্তাবনা আনা হয়েছিল। সেই প্রস্তাবনায় ভোটদান থেকে বিরত থাকে ভারত। কেন ভারত ভোট দিল না তার কারণও ব্যাখ্যা করেছে ভারত।

শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জের ১৯৩ সদস্যের সাধারণ সভায় পাকিস্তান ইসলাম-ভীতি নিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাবনা আনে। “ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই-এর পদক্ষেপ” শীর্ষক ওই প্রস্তাবনায় ১১৫টি দেশ খসড়ার পক্ষে ভোট দেয়। কোনও দেশ এই প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে ভোট না দিলেও, ভারত, ব্রাজিল, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, ইউক্রেন, ব্রিটেন সহ ৪৪টি দেশ এই প্রস্তাবনায় ভোটদান থেকে বিরত থাকে।
 
কোনও একটি নির্দিষ্ট ধর্মের ভিত্তিতে এমন প্রস্তাবনা তৈরি করা সঠিক নয়। শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রেখে রাষ্ট্রপুঞ্জের উচিত নিরপেক্ষতা বজায় রাখা। রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্যদের ধর্মীয় বিভেদের বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত বলে উল্লেখ করে ভারত।
 

ভারত, পাকিস্তানের আনা এই প্রস্তাবনায় ভোটদান না করার কারণ হিসাবে জানায় যে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কোনও ধর্মকে আলাদা না করে বরং হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ ও অন্যান্য ধর্মে বিশ্বাসীদের ধর্মীয় হিংসা ও বৈষম্যের ব্যাপকতাকে স্বীকার করতে হবে। রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ বলেন, “দশকের পর দশক ধরে প্রমাণ মিলেছে যে যাঁরা আব্রাহামিক ধর্ম অনুসরণ করে না, তারাও ধর্মীয় ভীতির শিকার হয়। হিন্দু বিরোধী, বৌদ্ধ বিরোধী ও শিখ বিরোধী মনোভাবের সৃষ্টি হয়েছে। খ্রিস্টান-ভীতি, ইসলাম ভীতির জেরে সমস্ত পদক্ষেপের নিন্দা করলেও, ইসলামের গণ্ডি পেরিয়ে সমস্ত ধর্মীয় ভীতিকেই স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।”