• facebook
  • twitter
Tuesday, 8 October, 2024

হিসারে জয়ী নির্দল প্রার্থী সাবিত্রী জিন্দাল, পরাজিত বিজেপির কমল গুপ্তা

কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। কিন্তু টিকিট নিয়ে মনোমালিন্যের জেরে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে যায়। নির্দল প্রার্থী হিসেবেই দাঁড়িয়েছিলেন সাবিত্রী জিন্দাল। হিসার বিধানসভা আসন থেকে ১৮ হাজার ৯৪১ ভোটে নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়েছেন সাবিত্রী। ভারতের সবচেয়ে ধনী মহিলা সাবিত্রী জিন্দাল হিসার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন। তিনি বিজেপির কমল গুপ্তা এবং কংগ্রেস প্রার্থী রাম নিবাসকে পরাজিত করেছেন।  

কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। কিন্তু টিকিট নিয়ে মনোমালিন্যের জেরে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে যায়। নির্দল প্রার্থী হিসেবেই দাঁড়িয়েছিলেন সাবিত্রী জিন্দাল। হিসার বিধানসভা আসন থেকে ১৮ হাজার ৯৪১ ভোটে নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়েছেন সাবিত্রী। ভারতের সবচেয়ে ধনী মহিলা সাবিত্রী জিন্দাল হিসার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন। তিনি বিজেপির কমল গুপ্তা এবং কংগ্রেস প্রার্থী রাম নিবাসকে পরাজিত করেছেন।

 
হিসারের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, সাবিত্রী জিন্দাল এক্স-এ পোস্ট করেছেন, ‘আভার হিসার পরিবার।’ হিসারের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। জিন্দাল পরিবারের ৭৪ বছর বয়সী সাবিত্রী তৃতীয়বারের মতো হিসারে জিতেছেন। এর আগে কংগ্রেস বিধায়ক হিসাবে ২০০৫ এবং ২০০৯ সালে এই আসনটি জিতেছিলেন।
 
২০০৫ সালে সাবিত্রী জিন্দালের স্বামী ওপি জিন্দালের মৃত্যুর পর ব্যবসা ও রাজনীতির জগতে পা রাখেন সাবিত্রী জিন্দাল। জিন্দাল গ্রুপের প্রধান হিসেবে তিনি ইস্পাত, বিদ্যুৎ, খনির সঙ্গে জড়িত একটি সংগঠনের তত্ত্বাবধান করেন। তিনি ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ অ-সামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণের মতো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছেন।
 
সাবিত্রী জিন্দাল ২০০৫ সালে কংগ্রেস সদস্য হিসাবে প্রথমবারের মতো হরিয়ানা বিধানসভায় হিসারের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এবং২০০৯ সালে পুনরায় নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে হরিয়ানা সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে তিনি মার্চ মাসে কংগ্রেস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। হিসারে টিকিট পাওয়া নিয়ে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে সাবিত্রী জিন্দলের। তাঁকে টিকিট না দেওয়ায় নির্দল হিসেবে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আর ভোটের ফল বেরোনোর পর দেখা যায় কংগ্রেস ও বিজেপি দুই দলকেই পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি। 
 
প্রসঙ্গত, মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘আমি হিসারের উন্নয়নের জন্য ও সেবা করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। হিসারের লোকেরা আমার পরিবার এবং ওম প্রকাশ জিন্দাল এই পরিবারের সঙ্গে আমার সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। জিন্দাল পরিবার সবসময় হিসারের সেবা করেছে। আমি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে এবং তাঁদের আস্থা বজায় রাখতে সম্পূর্ণরূপে নিবেদিত।’