আর কয়েকদিন পরই ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচনের মুখেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের ব্যক্তিগত সচিব সুনীল শ্রীবাস্তবের বাড়িতে হানা দিল আয়কর দফতর। শনিবার সকাল থেকে অভিযান শুরু হয় রাঁচির ৭টি জায়গায়। জামশেদপুরেও আয়কর হানা চলছে বলে জানা গিয়েছে। এ দিন সকালেই হেমন্ত সোরেনের ব্যক্তিগত সচিব সুনীল শ্রীবাস্তবের রাঁচির বাড়িতে হানা দেন আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, রাঁচি ও জামশেদপুরের ৯ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, ১৩ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ। দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ হবে ২০ নভেম্বর। ভোটের ফল প্রকাশ হবে আগামী ২৩ নভেম্বর।এরই মধ্যে শনিবার সকালে আয়কর বিভাগ রাঁচিতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের ব্যক্তিগত সচিবের বাড়ি-সহ প্রায় সাতটি স্থানে অভিযান শুরু করে।
ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা তথা জেএমএম নেতা মনোজ পান্ডে শনিবার বিধানসভার ভোটের মুখেই আয়কর বিভাগের অভিযানের পিছনে ‘উদ্দেশ্য’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। শনিবার এক সংবাদ সংস্থার সঙ্গে কথা বলার সময় পান্ডে বলেন, ‘কার ইশারায় এটা ঘটছে ?’ মানুষ যখন হেমন্ত সোরেন এবং কল্পনা সোরেনের সমাবেশে আসছে, তখন বিজেপির সমাবেশে আসছে না, এটি তাদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করেছে।’ পান্ডে অভিযানের সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন যে , নির্বাচনের আর মাত্র কিছু দিন বাকি রয়েছে। এই সময়ে ‘সমস্যা তৈরি করা’র উদ্দেশ্য কি ? কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি । তিনি আরও বলেন যে শ্রীবাস্তব, মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের ঘনিষ্ঠ। বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির বেশ কিছু দায়িত্বও রয়েছে তাঁর ওপর।
বিজেপিকে আক্রমণ করে জেএমএম প্রার্থী মহুয়া মাজি বলেছেন যে , রাজ্যের বাসিন্দারা এখানে ‘জুমলেবাজ’ করার কোনও সুযোগ দেবে না বলে মনস্থির করে নিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের সময় সোরেনকে গ্রেপ্তার করার জন্য এজেন্সি তৈরি করেছিল। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অন্যান্য নেতারা এখানে এসেছিলেন, কিন্তু ফলাফল আমাদের পক্ষে ছিল।’
প্রসঙ্গত, অক্টোবর মাসের শেষভাগে ঝাড়খণ্ডে অভিযান চালিয়েছিল ইডি । জলজীবন মিশনে আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় ওই অভিযান চালানো হয়েছিল। রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী মিথিলেশ ঠাকুরের ভাই বিনয় ঠাকুর, ব্যক্তিগত সচিব হরেন্দ্র সিং সহ একাধিক আধিকারিকের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি।
মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস, আরজেডি এবং বাম দলগুলির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের সঙ্গে বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে চলেছে । তার আগেই এই অভিযান রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি করল।