উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন কড়া নাড়ছে দরজায়। দেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে রীতিমতো ডেলি প্যাসেঞ্জারি করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে মরিয়া বিজেপি।
কারণ এই রাজ্যে বিজেপি কোণঠাসা হয়ে পড়লে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে তা বিজেপির পক্ষে সুখকর হবে না মাস তিনেকের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাবে তার ঠিক আগে আগে উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির একাধিক শীর্ষনেতার বাড়িতে তল্লাশি চালাল আয়কর বিভাগ। শনিবার রাজ্যের তিনজন শীর্ষস্থানীয় বিরোধী নেতার বাড়িতে হানা দিয়েছেন আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা।
তল্লাশি চালানো হয়েছে অখিলেশ যাদবের ব্যক্তিগত সহায়কের বাড়িতেও। ভোটের আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সির এই ‘হঠাৎ সক্রিয়তা’র নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখছেন সপা নেতা অখিলেশ যাদব।
শনিবার সকালে সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র রাজীব রাই, অখিলেশ যাদবের ব্যক্তিগত সচিব জৈনেন্দ্র যাদব এবং সপা’র আরেক নেতা মনোজ যাদবের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে আয়কর বিভাগ। এদিন সকালে বারাণসী থেকে আয়কর বিভাগের একটি টিম প্রথমে যায় রাজীব রাইয়ের বাড়ি।
ওই সপা নেতার দাবি, তার কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই। তার বিরুদ্ধে কোনওরকম অভিযোগ নেই। অযথা তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে। অন্যদিকে এদিন সপার গড় মৈনপুরিতে সপার আরেক নেতা তথা অখিলেশ ঘনিষ্ঠ মনোজ যাদবের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
দলীয় নেতাদের এভাবে ‘হেনস্তা’ করা নিয়ে সরব হয়েছেন অখিলেশ যাদব। তার বক্তব্য, ভোট আসছে। এখন এমন অনেক কিছুই হবে। আয়কর বিভাগ আসবে, ইডি আসবে, সিবিআই আসবে।
কিন্তু এভাবে সাইকেলকে (সমাজবাদী পার্টির নির্বাচনী প্রতীক) থামানো যাব না। বিজেপি উত্তরপ্রদেশ থেকে নির্মূল হয়ে যাবে। রাজ্যের মানুষকে আর বোকা বানানো যাবে না। তল্লাশি যদি করতেই হত, তাহলে একমাস আগেই করতে পারত। এখন কেন হচ্ছে? কারণ ভোট এগিয়ে আসছে।
অখিলেশের অভিযোগ, বিরোধীদের ভয় দেখাতে কংগ্রেসের মতো পন্থা নিচ্ছে বিজেপি। কংগ্রেসও ক্ষমতায় থাকাকালীন বিরোধীদের এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখাত। বিজেপিও সেটাই করছে। আসলে, এই কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিও এবার থেকে ভোটের লড়াইয়ে নেমে পড়ল।’