• facebook
  • twitter
Tuesday, 22 October, 2024

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরকে ঘিরে বহু প্রতীক্ষিত হেরিটেজ করিডোরের উদ্বোধন 

ভুবনেশ্বর, ১৭ জানুয়ারি – পুরী নামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে বাঙালির আবেগ। বছরে অন্তত একবার হলেও পুরী যেতেই হবে। আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধন ঘিরে দেশ জুড়ে সাজো সাজো রব। তার আগে জগন্নাথদেবের মন্দিরেও বুধবার মহা ধুমধাম। নতুন করে সেজে উঠেছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির। তার আগে শুক্রবার থেকেই নানা অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে পুরীতে। এদিন দুপুরে গজপতি

ভুবনেশ্বর, ১৭ জানুয়ারি – পুরী নামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে বাঙালির আবেগ। বছরে অন্তত একবার হলেও পুরী যেতেই হবে। আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধন ঘিরে দেশ জুড়ে সাজো সাজো রব। তার আগে জগন্নাথদেবের মন্দিরেও বুধবার মহা ধুমধাম। নতুন করে সেজে উঠেছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির। তার আগে শুক্রবার থেকেই নানা অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে পুরীতে। এদিন দুপুরে গজপতি দিব্যসিংহ দেব ১০৮ জন ব্রাহ্মণকে পবিত্র পান হাতে তুলে দেন। নবীন পট্টনায়ক সরকারের ‘শ্রী মন্দির পরিক্রমা প্রকল্প’ -এর এই উদ্বোধনে সামিল হন দেশ-বিদেশের ভক্তরা। পুজোপাট, যজ্ঞ চলে  দিনভর। নিজের হাতে নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক জগন্নাথ মন্দির পরিক্রমা প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য ১৭ জানুয়ারি রাজ্যে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। এদিন রাজ্যের সমস্ত সরকারি অফিস এবং স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল । 

পুরীর বহু প্রতীক্ষিত হেরিটেজ করিডোরের উদ্বোধন হল বুধবার। প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করে জগন্নাথ মন্দিরের চারপাশে ৭৫ মিটার চওড়া করিডোর তৈরি করা হয়েছে। তারই উদ্বোধন হল বুধবার, আগেই এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছে সরকার। আগে থেকেই নানা অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেছে পুরীতে। গজপতি দিব্যসিংহ দেব ১০৮ জন ব্রাহ্মণকে আপ্যায়ণ করেছেন। অঙ্কুরোপন এবং অঙ্কুর পুজো চলছে। যজ্ঞ অধিবাসও হবে। অখণ্ড দ্বীপ জ্বালানো হবে করিডোরে। টানা তিনদিন ধরে যজ্ঞ চলবে।মহোৎসবের সূচনা ওড়িশায়। 
অঙ্কুরোপণ অঙ্কুর পুজো সাঙ্গ হয়েছে গত শনিবার। ১৫ জানুয়ারি অখণ্ড দ্বীপ জ্বালানো হয়েছে হেরিটেজ করিডরে। পর পর তিন দিন ধরে যজ্ঞ জগন্নাথধামে। বুধবার দুপুর ১টা বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ পুরীর হেরিটেজ করিডরে প্রথম পরিক্রমা করেন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। দুপুর দেড়টায় শেষ হয় সেই পরিক্রমা। দুপুর ৩ টের পর ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয় করিডোর। সূর্য পুজো, ধরিত্রী পুজো, গো পুজো, পঞ্চক্রমা, বস্তু পুজো এবং অধিবাস পূর্ণ আহুতি সারাদিন ধরে চলবে সেখানে।
প্রতি বছরই  প্রচুর সংখ্যক মানুষ জগন্নাথ মন্দির দর্শনে আসেন। মন্দির চত্ত্বরে নিরাপত্তার সমস্যার কারণে ওড়িশা সরকার ‘শ্রী মন্দির পরিক্রমা প্রকল্প’ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়। ভক্তরা যাতে আরও ভাল করে দর্শন ও মন্দির পরিক্রমা করতে পারে সে জন্যই এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হয়  । নবীন পট্টনায়ক সরকারের হাইভোল্টেজ প্রোজেক্ট এই হেরিটেজ করিডোর।  ৯০টি পবিত্র স্থান এবং প্রতিষ্ঠান থেকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছেন প্রতিনিধিরা।