উত্তরপ্রদেশে শিক্ষকের বেধড়ক মারে দৃষ্টি হারাল নাবালক পড়ুয়া

কোনও কারণ ছাড়াই ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে মারধর করা হয়। শিক্ষকের বেধড়ক মারধরের ঘটনায় চিরতরে দৃষ্টি হারাল এক নাবালক পড়ুয়া। নৃশংস ঘটনার কয়েক মাস কেটে যাওয়ার পরেও শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ প্রশাসন।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের কৌসাম্বীর এক সরকারি স্কুলে নির্মম অত্যাচারের ঘটনাটি ঘটে ৯ মার্চ। খুদে পড়ুয়া জানিয়েছে, সেদিন স্কুলের মাঠে সহপাঠীরা খেলা করছিল। ক্লাসে এসে শিক্ষক সহপাঠীদের ডেকে আনতে বলেন। শিক্ষকের আদেশ মেনে সহপাঠীদের ডাকতে যায় সে। কিন্তু তারপরেও খেলাধুলা থামিয়ে ক্লাসে আসেনি সহপাঠীরা। তাদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে, রাগের মাথায় খুদে পড়ুয়াকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন শিক্ষক। খুদে পড়ুয়ার চোখের দিকে ছুঁড়ে মারেন বেত। তারপরেই নাবালক পড়ুয়ার চোখ থেকে রক্ত বের হতে শুরু করে।

পড়ুয়া আরও জানিয়েছে, শিক্ষক তাকে তড়িঘড়ি করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিল। আইড্রপ দেওয়ার পর ক্লাসে এনে শুইয়ে দেন তাকে। এরপর সহপাঠীরা বাড়িতে খবর পাঠায়। শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানালেও নেওয়া হয়নি কোনও ব্যবস্থা। শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেনি পুলিশ।


বেধড়ক মারধরের ঘটনার পর অন্ততপক্ষে দুবার পড়ুয়ার চোখে অপারেশন হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকরা অবশেষে জানান, বাঁ চোখে সে আর কখনও দেখতে পাবে না। চিরতরেই বাঁ চোখে দৃষ্টি হারিয়েছে সে। এরপরই জেলার চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির দ্বারস্থ হন পড়ুয়ার মা। সেখানে অভিযোগ জানানোর পর শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার লক্ষ্যে থানায় যান অনেকে। সম্প্রতি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়নি। অন্যদিকে পড়ুয়াকে দশ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব দেন শিক্ষক। যদিও তা গ্রহণ করেনি পড়ুয়ার পরিবার।