• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দিল্লিতে রেকর্ড চারশােরও বেশি মৃত্যু করােনা’য়

একদিকে করােনার তৃতীয় ঢেউ, অন্যদিকে ক্রমাগত অবনতি হতে থাকা বাতাসের গুণমান-- এই জোড়া ফলায় বেসামাল অবস্থা দিল্লির।

করোনা মৃত্যু (File Photo: AFP)

একদিকে করােনার তৃতীয় ঢেউ, অন্যদিকে ক্রমাগত অবনতি হতে থাকা বাতাসের গুণমান– এই জোড়া ফলায় বেসামাল অবস্থা দিল্লির। বাতাসের গুণগত মান খারাপ হলে করােনা’য় মৃত্যুর হার যে বাড়বে সে ব্যাপারে আগেই সতর্ক করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তার পরেও রাজধানীতে বাতাসে বিষ কমেনি। বরং সামনের দিনগুলােয় শীতের মরশুমে বাতাসে দূষণ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

আতস বাজির পােড়ানাের ওপর নিষেধাজ্ঞা জরি হওয়ায় দূষণ খানিকটা কমবে ঠিকই, কিন্তু বাতাস যে পুরােপুরি বিষমুক্ত হয়ে যাবে, তেমন আশা কেউই করছেন না। যার ফলে উৎসবের মরশুমের শুরু থেকেই দিল্লির পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করেছে। দৈনিক সংক্রমণের একের পর এক লাগাতার রেকর্ড হচ্ছিলই। এবার করােনা মৃত্যুতেও নজির সৃষ্টি করলাে দিল্লি। 

নভেম্বরের প্রথম দিনেই দিল্লিতে করােনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে দুশ্চিন্তার কারণ হল, দিল্লিতে রেকর্ড মৃত্যু। মাত্র এক সপ্তাহে চারশাের ওপর মারা গিয়েছেন। কোভিডে মৃত্যুর নিরিখে এটা দিল্লিতে একটা রেকর্ড। দিল্লির স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনের খবর অনুযায়ী, ১ থেকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে দিল্লিতে ৪২৭ জন করােনায় মারা গিয়েছেন। গােটা অক্টোবরে মৃত্যু হয়েছিল ১১২৪ জনের। সেখানে সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন ৯১৭ জন। আগস্টে মৃত্যু হয়েছিল ৪৫৮ জনের। 

করােনার তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় দিল্লিতে বেশি কোভিডের মৃত্যুমিছিল কী হারে বেড়েছে তা বুঝতে এই পরিসংখ্যানটাই যথেষ্ট। তবে দিল্লিতে করেনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে গত জুন মাসে। স্বাস্থ্য দফতরের রিপাের্ট অনুযায়ী ২২৪৭ জন মারা গিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেন, একটি মৃত্যুও বেদনার। রাজধানীতে মৃত্যুহার বেড়ে হয়েছে ১.৪৯ শতাংশ। জাতীয় মৃত্যুহারের থেকে সামান্য বেশি। 

দূষণই কি মৃত্যুর জন্য দায়ী। সত্যেন্দ্র জৈন বলেন, এটা বলা কঠিন। একমাত্র বিশেষজ্ঞরাই তা বলতে পারবেন। তবে একবার কেউ অসুস্থ হলে সবক’টি ফ্যাক্টরের প্রভাব পড়ে।