তিন সংস্থার তৈরি ভ্যাক্সিন চূড়ান্ত পরিণতির দিকে এগােচ্ছে। এই তিনটি সংস্থাই দেশের মধ্যে থেকেই তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রয়ােজন হলে জরুরি ভিত্তিতে তারা টিকার ডােজ বাজারে নিয়ে আসবে। প্রথম দফায় ভ্যাক্সিন আসতে আরও কয়েকটা মাস সময় লাগবে।
এবছরের শেষে বা নতুন বছরের শুরুতেই করােনার টিকা বাজারে আসবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে এমনটাই বলা হচ্ছে। প্রথম দফায় ৫০ লাখ ভ্যাক্সিনের জন্য বরাত দেওয়া হতে পারে।
তবে, প্রথম ভ্যাক্সিন কোন সংস্থা বাজারে আনবে তার ছাড়পত্র দেবে রেগুলেটরি কমিটি। কোভিড এক্সপার্ট গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে ভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির দফায় দফায় বৈঠক চলছে। নীতি আয়ােগের সদস্য ভি কে পাল ও স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ এই বৈঠকের নেতৃত্বে রয়েছেন।
টিকার ডােজ কেমন হবে? প্রতি ডােজের দাম কেমন হবে? উৎপাদন ও বিতরণের যাবতীয় খরচ সবিস্তরে ভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রথম দফায় ভ্যাক্সিন এলে কাদের দেওয়া হবে, তা নিয়েও শুরু হয়েছে আলােচনা।
ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশকর্মী, সেনাকর্মী, প্রবীণ নাগরিক সহ হাই-রিস্ক গ্রুপের সদস্যদের এই টিকা দেওয়া হতে পারে। ভ্যাক্সিন বাজারে আনার দৌড়ে রয়েছে দেশের পাঁচটি সংস্থা। সেরাম, ভারত বায়ােটেক, জাইদাস ক্যাডিলা এই সংস্থাগুলি আশার আলাে দেখাচ্ছে।