প্রথম দিন ১১ ঘন্টা আর দ্বিতীয় দিন ১১ ঘন্টা ম্যারাথন জেরার পরও সন্তুষ্ট নয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টারেট। তাই বুধবার ১১ টা ৩৫ মিনিট নাগাদ ফের ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন রাহুল গান্ধি।
এই হাজিরাকে কেন্দ্র করে গত দুদিনের মতো এদিনও কংগ্রেসের সত্যাগ্রহ জারি থাকে।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে মঙ্গলবার ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেডের শেয়ার সংক্রান্ত ও অ্যাসোসিয়েট জার্নাল লিমিটেডের কিছু লেনদেনের নথি দেখিয়ে রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। তাতে নাকী অনেক সময়ই বিরক্ত প্রকাশ করেন কংগ্রেস নেতা।
এমনকী মঙ্গলবারই নাকি তদন্ত শেষ করার কথা বলেন। রাহুলের উত্তরে সন্তুষ্ট না হওয়াতেই বুধবার ফের তাঁকে তলব করে ইডি।
জানা গিয়েছে, বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলার তদন্তে রাহুল গান্ধির সম্পূর্ণ বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। সেই বয়ানের ট্রান্সস্ক্রিপ্ট জমা দেওয়ার আগে রাহুল নিজে একবার বয়ানটি পড়েও নিয়েছেন।
এরইমধ্যে মঙ্গলবারই ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে রাতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধি।
জানা গিয়েছে, রাহুল নিজের জন্য নন, বরং করোনায় আক্রান্ত মা তথা কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধিকে দেখতেই হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি।
ওই একই মামলায় সোনিয়া গান্ধিকে তলব করেছে ইডি, কিন্তু করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ৮ জুনের পরিবর্তে ২৩ জুন ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা তাঁর।
রাহুল গান্ধির হাজিরা প্রসঙ্গে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলাত জানিয়েছেন, এটা সম্পূর্ণ সরকারের চক্রান্ত।
দেশে হয়ে চলা দুর্নীতি থেকে নজর ফেরাতেই মোদি-শাহরা রাহুল গান্ধিকে নিশানা করছেন।
টানা তিনদিন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধিকে ইডি’র জেরার মুখে পড়তে হয়েছে।
প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি, এই অভিযোগকে সামনে রেখে বুধবারও কংগ্রেসের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় দলীয় সমর্থকরা।
এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিস্তর ঝামেলা হয় কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের। এরপর কংগ্রেসের সদর দফতরে পুলিশ ঢুকে কর্মী-সমর্থকদের মারধর করে বলে অভিযোগ।
কংগ্রেসের সদর দফতরে দিল্লি পুলিশ ঢোকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা।
দলের সদর দফতরে পুলিশ ঢুকছে, এমন একটি ভিডিও ট্যুইট করেন এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল। তিনি মন্তব্য করেন, দিল্লি পুলিশ গণতন্ত্রকে হত্যা করছে।
এদিকে কংগ্রেসের সদর দফতরে পুলিশ ঢোকায় আজ বৃহস্পতিবার দেশের প্রতিটি রাজ্যে রাজভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস।