২০২৫ সালের মধ্যে দেশের উত্তরপূর্ব প্রান্তে মােট ৫৭ হাজার ১৩১ জন মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হবেন। ২০২০ সালের তুলনায় (৫০,৩১৭) এই পরিসংখ্যান বেশ খানিকটা বেড়েছে। গতকাল বিশ্ব ক্যান্সার দিবসে আইসিএমআর-এর একটি রিপাের্টে এই তথ্য জানানাে হয়েছে।
বেঙ্গালুরুতে আইসিএমআর-এর ডিজিজ ইনফরনেটিক্স অ্যান্ড রিসার্চর পক্ষ থেকে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। প্রােফাইল অব ক্যান্সার অ্যান্ড রিলেটেড হেলথ ইনডিকেটরস ইন দ্য নর্থইস্ট রিজিয়ন অব ইন্ডিয়া শীর্ষক এই রিপাের্ট মুলত ১১ টি ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টার থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে। ২০২১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত অসম, মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরার হাসপাতালগুলিতে ভর্তি থাকা ক্যান্সার রােগীদের বিস্তরিত তথ্যও সংগ্রহ করেছেন তারা।
বেঙ্গালুরুর এই সংস্থার রিপাের্টে উল্লেখ করা হয়েছে উত্তরপূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্য দেশের মুকুটে একেকটি রত্নের মতাে। এই রাজ্যগুলি থেকে ক্যান্সারের বােঝা দূর করতে ন্যাশনাল ক্যান্সার রেজিস্ট্রি প্রােগ্রাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে গত কয়েক বছর ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে আইসিএমআর কর্তৃপক্ষও।
ভবিষ্যতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে এই রাজ্যগুলির স্বাস্থ্য পরিকাঠামাে উন্নত করতে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন আইসিএমআর-র ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব। এইমস-এর প্রধান ডা. জি কে রথ বলেন, একদম ধাপে ধাপে রােগ নির্ণয় এবং নিরাময়ের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে। এই রিপাের্টটি আমাদের নতুন করে ভাবতে এবং ক্যান্সার চিকিৎসায় সাহায্য করবে।
আইসিএমআর রিপাের্ট জানাচ্ছে, মণিপুর এবং সিকিমে মহিলাদের তুলনা পুরুষদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। পুরুষদের ক্ষেত্রে খাদ্যনালীতে ক্যান্সারের সম্ভাবনা ১৩.৬ শতাংশ। ফুসফুসে ১০.৯ শতাংশ। মহিলাদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ১৪.৫ শতাংশ ক্ষেত্রে মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা রয়েছে।