অন্ধ্রপ্রদেশের কাডাপা জেলায় একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর গায়ে আগুন লাগিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল প্রেমিকের বিরুদ্ধে। রবিবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর আগে ওই কিশোরী বয়ানে জানিয়েছে, বিয়ে করার জন্য চাপ দেওয়ায় তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় প্রেমিক ভিগনেশ। শনিবার বাডভেল শহরে ঘটনাটি ঘটেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার রাজীব গান্ধী ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে চিকিৎসা চলাকালীন রবিবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরের ৮০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি অভিযুক্ত কিশোর অন্য একজনকে বিয়ে করেছিল। তবে মৃত কিশোরীর সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙতে চায়নি সে। শনিবার ভিগনেশ ওই কিশোরীকে দেখা করার জন্য চাপ দিচ্ছিল। দেখা না করলে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিল অভিযুক্ত। তারপর দেখা করতে রাজি হয়ে যান ওই কিশোরী। একটি অটোরিকশা করে প্রমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল সে। কিছুক্ষণ পর ভিগনেশের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। তাঁরা দুজনে বাডভেল শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে সেঞ্চুরি প্লাইউড ফ্যাক্টরির কাছে পৌঁছায়। সেখানে পৌঁছে তাঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছে তা জানতে পারেনি পুলিশ। কিছুক্ষণ পর ভিগনেশ তাঁর প্রেমিকার শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
কিশোরীর চিৎকার শুনে আশপাশের মাঠে কর্মরত কৃষকরা ছুটে এসে আগুন নেভান। ততক্ষণে অভিযুক্ত সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছে। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তাঁরাই নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে তাঁকে কাডাপার রাজীব গান্ধী ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে স্থানান্তরিত করে চিকিৎসকরা। মৃত্যুর আগে হাসপাতালেই তার বয়ান রেকর্ড করেন জেলা জজ।
পুলিশ জানিয়েছেন, শনিবার রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এন. চন্দ্রবাবু নাইডু। ফাস্ট–ট্র্যাক কোর্টে মামলার বিচারের কথা জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি দোষী ব্যক্তির যাতে মৃত্যুদণ্ড হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।