বিশ্বের দ্বিতীয় জনবসতির দেশ ভারত। চীনের পরেই এর স্থান। কোটির দেশে ৬৮.৮শতাংশ ভারতীয়ের রোজের আয় ১৫৬ টাকারও কম। সেই জনগণ রোজ হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে দুবেলার অন্ন জোটায়। সেই জনগণের নানান সুবিধা-অসুবিধে দেখতে নির্বাচিত হন জন প্রতিনিধি।
কিন্তু জানেন কি সেই প্রতিনিধিদের নিজস্ব সম্পত্তির পরিনাম শুধু অবাকই করে না ভাবতেও বাধ্য করে।
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর ) দ্বারা প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন জানা গিয়েছে যে ভারতে মুখ্যমন্ত্রীদের গড় সম্পদের মূল্য ১৬.১৮ কোটি টাকা যেখানে দুজন মুখ্যমন্ত্রী এমনও আছেন যারা ১০০ কোটি ক্লাবের ‘সদস্য ‘। বাকি ৩১ জন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ২৫ জনই কোটিপতি।
ভারতের সবচেয়ে ধনী মুখ্যমন্ত্রী হলেন অন্ধ্র প্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডু যার সম্পদের পরিমাণ ১৭৭ কোটি টাকার বেশি এবং অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খান্ডুর সম্পদের মূল্য ১২৯ কোটি টাকারও বেশি।
এডিআর অনুসারে, তৃতীয় ধনী মুখ্যমন্ত্রী হলেন পাঞ্জাবের প্রধান অমরিন্দর সিং,৪৮ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ঘোষিত সম্পদের সাথে।
তবে ভাববেন না যে শুধু কোটিপতি মুখ্যমন্ত্রীই আছেন। তবে এমন মুখ্যমন্ত্রীও আছেন যাদের সম্পত্তির হিসেব কিছুটা হলেও সাধারণ মানুষকে সান্তনা দেওয়ার মত।
‘দরিদ্র’দের মধ্যে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ২৬ লাখ টাকা, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩০ লাখ টাকা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির সম্পদের পরিমাণ ৫৫ লাখ টাকা।
মুখ্যমন্ত্রীদের আয় এডিআর এবং ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ (নিউ) দ্বারা সারা দেশে রাজ্য বিধানসভা এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীদের স্ব-শপথের হলফনামার মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা হয়েছিল।