ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬ হাজার ছাড়াল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুসারে ১৮ মে সোমবার সকাল ৮’টা পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬,১৬৯। এখনও পর্যন্ত কোভিড ১৯ সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৩০২৯ জনের। আর সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৬,৮২৪ জন।
গত ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫২৪২ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৫৭ জনের। আর সুস্থ হয়েছে ২৭১৫ জন। দেশে এখন সুস্থতার হার ৩৮.২৮ শতাংশ। ভারতে এখন কোভিড অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ৫৬৩১৬। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, তাদের এই পরিসংখ্যান আইসিএমআর এবং অন্যান্য রাজ্য থেকে পাওয়া পরিসংখ্যানের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার ১৬ মে দেশে সুস্থতার হার ছিল ৩৫.০৯ শতাংশ। রবিবার ১৭ মে তা বেড়ে হয় ৩৭.৫১ শতাংশ। সোমবার ১৮ মে দেশে সুস্থতার হার ৩৮.২৮ শতাংশ। অতএব ক্রমবর্ধমান কোভিড আক্রান্তের পাশাপাশি সুস্থতার হার বৃদ্ধি পাওয়ার এই পরিস্থিতি ইতিবাচক বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
উল্লেখ্য শনিবার দেশে মৃত্যুহার ছিল ৩.২০ শতাংশ। রবিবার তা কমে হয় ৩.১৫ শতাংশ। সোমবার দেশের মৃত্যুহার ৩.১৪। অতএব কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটা স্পষ্ট যে দেশে সুস্থতার হার বাড়ছে এবং মৃত্যুহার কমছে।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মহারাষ্ট্রেই সবচেয়ে বেশি। মারাঠা প্রদেশে কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩,০৫৩ জন। এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১১৯৮ জনের। আর সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৭,৬৮৮ জন।
এরপরেই রয়েছে গুজরাত। পশ্চিমের এই রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১১,৩৭৯ জন। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৬৫৯ জনের। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪,৪৯৪ জন।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। দক্ষিণের এই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১,২২৪। মৃত্যু হয়েছে ৭৮ জনের। আর সুস্থ হয়েছে ৪,১৭২ জন।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে ভারতের কোভিড পরিসংখ্যানে চতুর্থ স্থানে রয়েছে রাজধানী শহর দিল্লি। এখানে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১০,০৫৪। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ১৬০ জনের। আর সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪,৪৮৫ জন।