ওটায়া, ৭ মে-– রাস্তা-ঘাটে, বাসে, ট্রেনে, মেট্রো এমনকী বন্ধুদের জমাটি আড্ডাতেওবাড়িতে সবাই একদৃষ্টে মোবাইলে নিন্মজ্জিত৷ স্মার্টফোনের এই ‘নেশা’ এখন সভ্যতার কাছে এক সংকটের মতো৷ তবুও সবুর করার কথা বলছেন মেটার শীর্ষ এআই বিজ্ঞানীর৷ আর এক থেকে দেড় দশকের মধ্যেই নাকি অবলুপ্ত হয়ে যাবে স্মার্টফোন! এমনটাই দাবি মেটার শীর্ষ এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুনের৷ওই বিজ্ঞানীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘শেষপর্যন্ত আমরা যেটা চাই, সেটা হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অ্যাসিস্ট্যান্ট৷ যেগুলি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাহায্য করবে৷ আর সেই কারণেই আমাদের পকেটে থাকে স্মার্টফোন৷ কিন্ত্ত আজ থেকে দশ বা পনেরো বছরের মধ্যেই আমাদের আর স্মার্টফোনের প্রয়োজন পড়বে না৷ তখন এসে যাবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাসেস৷”
লেকুনের দাবি, ওই বিশেষ ধরনের চশমা আর ব্রেসলেটই সব কাজ করে দেবে৷ কল্পবাস্তবের জগতে চলাফেরা করতে কোনও সমস্যাই হবে না৷ ফলে স্মার্টফোনের প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে৷ লেকুনই প্রথম এমন বললেন তা নয়৷ নোকিয়ার সিইও পেক্কা লান্ডমার্ক ২০২২ সালেই বলেছিলেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই স্মার্টফোন আর প্রাসঙ্গিক থাকবে না৷ বরং শরীরেই বসানো থাকবে নানা যন্ত্র! প্রসঙ্গত, বছরের শুরুতেই ‘অসাধ্য সাধন’ করেছে ধনকুবের এলন মাস্কের সংস্থা নিউরালিঙ্ক৷ মানব মস্তিষ্কে বসানো হয়েছে একটি ‘ব্রেন ইন্টারফেস’ অর্থাৎ চিপ৷ যা মানব মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারের সরাসরি যোগাযোগ গডে় তুলতে পারে৷ সেই ব্যক্তি তাঁর মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে অর্থাৎ ‘টেলিপ্যাথি’র মাধ্যমে ভিডিও গেম বা অনলাইন দাবা খেলতে পারছেন! সব মিলিয়ে প্রযুক্তির দুনিয়ায় ‘বিপ্লব’ এসে গিয়েছে৷ যা নিত্যনতুন উদ্ভাবনে আগের সবকিছুকেই টেক্কা দিচ্ছে৷ ফলে স্মার্টফোনের অবলুপ্তি সংক্রান্ত এমন ভবিষ্যদ্বাণীকে উডি়য়ে দিতে পারছে না ওয়াকিবহাল মহল৷