‘সংখ্যাগুরু হিন্দুদের ইচ্ছেমতোই দেশ চলবে’ এই বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর যাদব। এই মন্তব্যে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। মঙ্গলবারই শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এবার শেখরকুমার যাদবের বিরুদ্ধে রাজ্যসভায় ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনা হল।
শুক্রবার রাজ্যসভার রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিবালের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল মহাসচিবের কাছে বিচারপতির বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব জমা দেন। ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনতে হলে কমপক্ষে ৫০ জন এমপি-র স্বাক্ষরের প্রয়োজন। এদিন ৫৫ জন সদস্যের স্বাক্ষরিত ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর কুমার যাদব প্রয়াগরাজে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন। সেই সভায় তিনি মন্তব্য করেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের মর্জি অনুযায়ী দেশ চলবে, কারণ এটা হিন্দুস্তান। পাশাপাশি তিনি মুসলিমদের একাধিক বিষয় নিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভা মঞ্চ থেকে খোলাখুলি মন্তব্যও করেছিলেন।
বিচারপতি যাদবের রবিবারের ভাষণ উল্লেখ করে প্রস্তাবে দাবি করা হয়েছে, সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়কে বোঝাতে তিনি অশ্লীল শব্দও ব্যবহার করেছিলেন। ফলে বিচারপতি হিসাবে শপথগ্রহণের সময় তিনি যা পাঠ করেছিলেন, তা পুরোপুরি ভঙ্গ করা হয়েছে এবং সংবিধানের মূল নীতি ও আদর্শকেও মেনে চলা হয়নি।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, এ ধরনের বিভাজনমূলক ও পক্ষপাতদুষ্ট বক্তব্যের কারণে বিচারপতি যাদব বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনসাধারণের আস্থা হারিয়েছেন। রামজন্মভূমি নিয়ে তাঁর মন্তব্য রাজনৈতিক ভাষণ ছাড়া অন্য কিছুই নয়। সংবিধানের বিভিন্ন ধারায় বলা হয়েছে, কেউ বিচার ব্যবস্থার নীতিকে ক্ষুণ্ণ করলে, পক্ষপাতমূলক আচরণ এবং বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের বিশ্বাস হারানোর মতো কাজ করলে তাঁকে অপসারিত করা যায়।