কানপুর, ২৩ মে– গোটা দেশের চাকরির বাজারেই আইআইটি, আইআইএমের পড়ুয়াদের একটা আলাদা জায়গা থাকে৷ এই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পড়ুয়ারা শিক্ষা শেষের আগেই চাকরির অফার হাতে পেয়ে যান৷ কিন্তু এবার এই বিশ্বাস ইতিহাসই হতে চলেছে বোধহয়৷ কারণ ভারতের বাজারে দেখা দিয়েছে ভাল চাকরির নজিরবিহীন আকালে৷ জানা গিয়েছে, দেশের ২৩টি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বা আইআইটি’র চূড়ান্ত বর্ষের যে পড়ুয়ারা আর কয়েক মাস পর ক্যাম্পাস ছাড়বে তাদের ৩৮ শতাংশ যা সংখ্যায় সাত হাজারএখনও একটিও চাকরির অফার পায়নি৷ বছর দুই আগে সংখ্যাটা ছিল অর্ধেকেরও কম৷
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, করোনার সময়ও চাকরির অফারের এমন আকাল দেখা যায়নি৷ বলছেন, তথ্য জানার অধিকার আইন নিয়ে কাজ করা ধীরজ সিং৷ তিনি কানপুর আইআইটি’র প্রাক্তনী৷ চাকরির আকালের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন স্বয়ং আইআইটি অধিকর্তারাও৷ আইআইটি দিল্লির এক কর্তা জানিয়েছেন, অনেকভাবে চেষ্টা চালিয়েও প্রায় চারশো পড়ুয়ার জন্য এখনও কোনও চাকরির ব্যবস্থা করা যায়নি সমস্যার সমাধানে বিশ্বের নানা প্রান্তে থাকা প্রাক্তনীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে৷ আইআইটি বম্বেতে সংখ্যাটা ২৫০৷ সেখানকার এক কর্তা জানিয়েছেন, আমরা জুন পর্যন্ত চেষ্টা চালাব এই পড়ুয়াদের চাকরির ব্যবস্থা করতে৷ আইআইটি বম্বের এক কর্তার কথায়, পড়ুয়াদের ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না৷ এমন মন্দা আগে দেখা যায়নি৷
তবে শুধু ছাত্র-অভিভাবক নয়, চাকরির এই আকালের ঘন মেঘে চিন্তগ্রস্ত রাজনীতিক মহলও৷ লোকসভা ভোটের প্রচারের মধ্যে আইআইটি-র পড়ুয়াদের এমন দশার খবর অস্বস্তি বাডি়য়েছে বিজেপির৷ বিরোধীদের বক্তব্য, মোদি সরকার দেশের আর্থিক অবস্থা নিয়ে যে অতিরঞ্জিত চিত্র তুলে ধরছে, আইআইটির মতো প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের চাকরি না পাওয়ার পরিসংখ্যানেই তা স্পষ্ট৷