দিল্লি, ১৬ এপ্রিল– সারা দেশের ম্যানেজমেন্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরুণ শিক্ষার্থীদের জীবনের সুরক্ষা প্রদানে আইডিয়েশন এক্স৷ এসবিআই লাইফ আইডিয়েশিন এক্স-এর প্রথম সংস্করণে সারা দেশের ম্যানেজমেন্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০০ তরুণ অংশগ্রহণ করল৷ দেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বেসরকারি জীবন বিমা কোম্পানিগুলোর অন্যতম, এসবিআই লাইফ ইনশিওরেন্স, লঞ্চ করল আইডিয়েশনএক্স-এর প্রথম সংস্করণ৷ এটি এমন এক উদ্যোগ যা বিমা শিল্পের ভবিষ্যতে বিপ্লব ঘটানোর ক্ষমতা রাখে৷ এই উদ্ভাবনীমূলক প্ল্যাটফর্মের লক্ষ্য সারা দেশের ম্যানেজমেন্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পড়ুয়া ভবিষ্যৎ নেতাদের নতুন ধরনের জীবন বিমা সমাধান ভাবা, উদ্ভাবন করা এবং প্রকাশ করার কাজে যুক্ত করা এবং উৎসাহ দেওয়া৷
২০৩০ সালে ভারত ৩য় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠবে৷ এই ব্যাপারটি জীবন বিমা শিল্পের জন্যে এক বিরাট সুযোগ৷ ভারতে বিমা পৌঁছেছে মাত্র ৩% মানুষের কাছে৷ ফলে ওই ক্ষেত্রে বৃদ্ধির বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে৷ তাছাড়া আর্থিক সুরক্ষা, ডিজিটাল রূপান্তর, কর্মসংস্থান তৈরি এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য আয়ের ব্যবস্থা করার সুযোগও আছে৷ আইআরডিএআইয়ের একটি দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হল “২০৪৭ সালের মধ্যে সকলের জন্য বিমা”৷ তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এসবিআই লাইফের ‘আইডিয়েশনএক্স’-এর লক্ষ্য তরুণদের যুক্ত করে, অনুপ্রেরণা দিয়ে এবং সুযোগ দিয়ে এক উদ্ভাবন ও থট লিডারশিপের সংস্কৃতি গড়ে তোলা যা দীর্ঘ মেয়াদে ক্রেতা এবং এই ক্ষেত্রের জন্যে লাভজনক হবে৷
এসবিআই লাইফ-আইডিয়েশনএক্স-এর প্রথম সংস্করণে বিভিন্ন ম্যানেজমেন্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০০-এর বেশি উৎসাহী তরুণ অংশগ্রহণ করে৷ যেমন পুনের এনআইএ, আমেদাবাদের এনআইআরএমএ, মুম্বাইয়ের এসআইইএস, কেজে সোমাইয়া, কলকাতার আইএমআই, গুরগাঁওয়ের বিএমএল মুঞ্জাল, হায়দরাবাদের আইএমটি এবং ব্যাঙ্গালোরের এক্সআইএমই৷ স্ক্রিন টেস্টের পর প্রায় ৩২০ জন সম্ভাবনাময় পড়ুয়াকে বেছে নেওয়া হয় এবং ফাইনাল রাউন্ডে আটটি দলে ছিলেন পাঁচজন করে পড়ুয়া৷
শুভেন্দু বল, চিফ অ্যাকচুয়ারি অ্যান্ড চিফ রিস্ক অফিসার, এসবিআই লাইফ ইনশিওরেন্স, বললেন “আমরা এসবিআই লাইফ-আইডিয়েশনএক্স-এর প্রথম সংস্করণে বিপুল সাড়া পেয়ে আপ্লুত৷’ তিনি আরও বলেন, আইডিয়েশনএক্স-এ আমাদের দেশের তরুণদের প্রশংসনীয় আবেগ ও একনিষ্ঠতা দেখা গেছে৷ তাঁরা ব্যতিক্রমী সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন ক্ষমতা দেখিয়েছেন৷ তাঁদের পরিকল্পনাগুলো কেবল জীবন বিমার চালচিত্র বদলে দেওয়ার ক্ষমতাই ধরে না, আমাদের দেশের আর্থসামাজিক গঠনও বদলে দিতে পারে৷