৬ দফা নির্দেশিকা ঘোষণা আইসিএমআর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের

প্রতিকি ছবি (Photo: AFP)

করোনাভাইরাস পরীক্ষার কৌশল বদলে এ ব্যাপারে আরও আগ্রাসী ভূমিকা নিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বৃহস্পতিবার রাতে এ ব্যাপারে ৬ দফা নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র। সবকটি রাজ্যকেও তা জানিয়ে দেওয়া হল। মোটা দাগে বলা যেতে পারে, এ বার চিরুণি তল্লাশি শুরু করার নির্দেশ জারি। সন্দেহ হলেই পরীক্ষা করা হবে।

প্রথমত, কোনও করোনা আক্রান্ত রোগীর যারা সরাসরি সংস্পর্শে এসেছেন তাদের প্রথমে পাঁচ দিনের মধ্যে একবার আর চোদ্দ দিনের মধ্যে একবার কোভিড ১৯ টেস্ট করাতেই হবে। তার মধ্যে কোনও উপসর্গ দেখা না গেলেও বাধ্যতামূলক ভাবে তা করাতে হবে।

দ্বিতীয়ত, গত ১৪ দিনের মধ্যে কেউ বিদেশ থেকে ভারতে এলে এবং তার মধ্যে উপসর্গ দেখা গেলেই কোভিড ১৯ টেস্ট করাতে হবে।


তৃতীয়ত, যাদের করোনা পজিটিভ এসেছে তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের মধ্য উপসর্গ দেখা গেলেই টেস্ট করাতে হবে।

চতুর্থত, কোনও স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে সামান্য উপসর্গ দেখা গেলেও বাধ্যতামূলকভাবে তার কোভিড ১৯ টেস্ট হবে।

পঞ্চমত, কোনও রোগীর প্রবল শ্বাসকষ্ট (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস বা সারি) থাকলেই তার কোভিড ১৯ টেস্ট করাতে হবে।

ষষ্ঠত, যেখানে যেখানে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখা হয়েছে, সেখানে কারও মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো উপসর্গ দেখা গেলে তার পরীক্ষা করাতে হবে।

উপসর্গ দেখা দেওয়ার সাত দিনের মধ্যে আরআরটি-পিসিআর টেস্ট করাতে হবে। আর যদি দেখা যায়, সাত দিনের বেশি সময় ধরে একই উপসর্গ রয়েছে তা হলে প্রথমে অ্যান্টিবডি টেস্ট করাতে হবে। তাতে নেগেটিভ এলে আরআরটি-পিসিআর কাতে হবে।

বস্তুত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবারই বলেছে, লকডাউন স্থায়ী সমাধান নয়। তা সময় কেনার উপায় মাত্র। লকডাউন করে কোভিড ১৯ পরীক্ষায় আরও আগ্রাসী হতে হবে। সন্দেহ হলেই পরীক্ষা করাতে হবে। আর যাদের পজিটিভ পাওয়া যাবে তাদের আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। এতেই সংক্রমণ ছড়ানোর হার কমবে। আইসিএমআর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরামর্শ মেনে এখন সেটাই করতে হবে রাজ্যগুলিকে।

বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে, এর ফলে প্রতিদিন আরও বেশি সংখ্যায় টেস্ট হবে। তাতে আরও বেশি সংখ্যায় পজিটিভ কেস পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু তাতে আশঙ্কার কিছু নেই। বরং তা ভাল। কারণ লক্ষ্য হল করোনা আক্রান্ত প্রত্যেককে চিহ্নিত করে তাদের আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা। তবেই সংক্রমণ ছড়ানো ঠেকানো যাবে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত ৯’টা পর্যন্ত গোটা দেশে ১৬০০২ জনের টেস্ট হয়েছে। তার মধ্যে ৩২০ জনের রেজাল্ট পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে।