দিল্লিতে টানা তৃতীয়বার নির্বাচনে জয়লাভ করার পর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল মঙ্গলবার দিল্লির জনগণ’কে ধন্যবাদ জানায় তাদের ‘ছেলে’র ওপর বিশ্বাস করার জন্য।
বিপুল ভোটে দিল্লির আসন জয় করার পর তিনি তাঁর সমর্থকদের বলেন, ‘দিল্লিবাসি তোমরা তো ফাটিয়ে দিয়েছ। আমি তোমাদের ভালোবাসি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই জয় মানুষের জয় যারা আমাকে তাঁদের ছেলে মনে করেন আর আমাদের ভোট দিয়েছেন।’
এই জয়’কে দিল্লির মানুষের জয় আখ্যা দিয়ে কেজরিওয়াল বলেন এটা নতুন ধরনের রাজনীতির সূচনা হল-‘কাজের রাজনীতি’। ‘এটা নতুন সূচনা।’
তিনি দিল্লি নির্বাচনে আপ’এর জয়’কে ভারতের জয় বলে আখ্যা দেন।
হনুমানজি কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, হনুমান’জি দিল্লির মানুষকে আশিরবাদ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রার্থনা করি হনুমানজি আমাদের সঠিক পথ দেখাবেন আর আমরা যেন আগামী পাঁচ বছর জনতার সেবা করতে পারি।’
দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মনিষ সিসোদিয়া পটপরগঞ্জ কেন্দ্রে জেতার পর বলেন, দিল্লির জনতা বুঝিয়ে দেয়াছে জাতীয়তাবাদের আসল মানে তাদের ভোটের মাধ্যমে।
মনিষ সিসোদিয়া তাঁর বিধানসভার আসন তৃতীয়বারের জন্য ধরে রাখলেন। তিনি বলেন, বিজেপি ‘হিংসার রাজনীতি’ করে, কিন্তু জনতা বিভাজন হতে দেয়নি।
মনিষ সিসোদিয়া পটপরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির রবি নেগিকে পরাজিত করে তৃতীয়বারের জন্য আসন ধরে রাখলেন।
সিসোদিয়ার আগে রাজিন্দর নগর থেকে বিজয়ী আপ প্রার্থী রাগভ চাড্ডা বলেন, রাজধানির মানুষ প্রমাণ করে দেয়েছে যে, দিল্লি’র ‘ছেলে’ প্রার্থ অরবিন্দ কেজরিওয়াল সন্ত্রাসবাদী নয় বরং আসল দেশপ্রেমিক।
রাগভ চাড্ডা বলেন, ‘উনি (অরবিন্দ কেজরিওয়াল) দেশ গড়ার কাজ করছেন। তিনি যা করছেন তাকে দেশপ্রেম বলে। বিজেপি যা করছে তা দেশপ্রেম নয়’।
নির্বাচন কমিশনের ট্রেন্ড অনুযায়ী আম আদমি পার্টি ৩৮ আসন জিতে আরও ২৪ আসনে এগিয়ে।এদিকে বিজেপি ৪ আসন জিতে আরও ৪ আসনে এগিয়ে।
৭০ আসনের দিল্লি নির্বাচনে ২১টি কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভোট গণনা চলছে সকাল ৮টা থেকে।
বুথ ফেরত সমিক্ষায় বলা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদ্মি পার্টী ক্ষমতা বজায় রাখবে, গত বছরের থেকে বিজেপির আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, কংগ্রেস আসন পেলেও দু’টোর বেশি পাবে না।
দিল্লি নির্বাচনে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬২.৫৯ শতাংশ, যা ২০১৫ সালের ৬৭.৫ শতাংশের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। কিন্তু ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় তা ২ শতাংশ বেশি।
২০১৫ দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে আপ জিতেছিল ৬৭ আসনে আর বিজেপির দখলে এসেছিল মাত্র তিনটি আসন।