বিহারে ভাঙতে চলেছে বিজেপি-জেডি (ইউ) জোট? পদত্যাগ করতে পারেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার? গত কয়েক দিনে যেভাবে দুই শরিকের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
রবিবারই দলের সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। জেডি (ইউ) নতুন সর্বভারতীয় সভাপতির পদে নিয়ে আসা হয়েছে দলের রাজ্যসভার সাংসদ রামচন্দ্র প্রসাদ সিংকে। তিনি আবার নীতীশ কুমারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। নীতীশের মতােই তিনিও বিহারের নালান্দা জেলারই বাসিন্দা।
তবে এই ঘােষণার পরেই বােমা ফাটান নীতীশ কুমার। জানান, চাপের মুখেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন। তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কোনও ইচ্ছা ছিল না। কে এই চেয়ারে বসলেন, তাতে তাঁর নাকি কিছু যায়-আসে না।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে আরজেডি। কিন্তু জেডি (ইউ) এবং বিজেপি মিলে সরকার গঠন করেছে। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন নীতীশই। কিন্তু তার পর থেকেই দুদলের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করেছে।
এর মধ্যে আবার অরুণাচল প্রদেশে নিজেদের শরিকেরই ঘর ভেঙেছে বিজেপি। অরুণাচল বিধানসভায় নির্বাচিত জেডি (ইউ) ৬ বিধায়ক একসঙ্গে যােগ দিয়েছেন বিজেপিতে। ফলে উত্তরপূর্বে রাজ্যটিতে প্রধান বিরােধী দলের তকমা হারিয়েছে নীতীশের দল।
আপাতত সেখানে নীতীশ কুমারের হাতে আছেন মাত্র একজন বিধায়ক। আর এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে বিহারেও। এরপরেই তড়িঘড়ি দলে একাধিক পরিবর্তন এনেছেন নীতীশ কুমার। কিন্তু তার পরেই তাৎপর্যপূর্ণভাবে এমন বক্তব্য রেখেছেন।
দলের বৈঠকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শােনা গিয়েছে– লােকে বলছে বিহারে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাইছে। আমার তাতে কিস্যু যায়-আসে না। আমার কোনও পদের প্রয়ােজন নেই। ভােটের ফলাফলের পরেই নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলাম। কিন্তু জোটের চাপে আমাকে আবার এই আসনে বসতে হয়েছে।