ভাইয়ের জন্য আমি আমার জীবনও দিতে পারি এবং সেও আমার জন্য তাঁর জীবন দিতে পারে। রবিবার এমনটাই বলেছেন। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। জমে উঠেছে উত্তর প্রদেশের ভোটের খেলা।
উল্লেখ্য, বিজেপির তরফ থেকে বিগত কয়েকদিন ধরেই অভিযোগ তোলা হচ্ছিল। বলা হচ্ছিল ভাই-বোনের মধ্যে অর্থাৎ রাহুল গান্ধি ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধির মধ্যে এক দ্বন্দ্বের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।
রবিবার সেই সব অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে রাহুল ও তাঁর সম্পর্ককে অটুট বন্ধনের কথাই তুলে ধরার চেষ্টা করলেন প্রিয়ঙ্কা। সেই সঙ্গে গান্ধী পরিবারের সংঘাতের প্রশ্নে তাঁর সাফ জবাব, সংঘাত কোথায়!
কিছুদিন আগেই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি এবং রাহুল গান্ধির মধ্যে ফাটল কংগ্রেসের পতন ঘটাবে। যোগীর সেই আক্রমণেরও পাল্টা রবিবার দিয়ে রাখলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি।
সোমবারই উত্তর প্রদেশের দ্বিতীয় দফার ভোট। তার আগে প্রিয়াঙ্কা হাসিমুখে পরিবারের ফাটল ধরার সেই যুক্তির গান্ধি মোড় ঘুরিয়ে দিয়ে বলেন, দ্বন্দ্বটি আসলে রয়েছে যোগী আদিত্যনাথের মনে। মনে হচ্ছে তিনি এই কথা বলছেন।
বিজেপিতে, তাঁর (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র) মোদিজি এবং (কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) অমিত শাহর মধ্যে ফাটলের কারণে। উত্তর প্রদেশের নির্বাচনী প্রচারের হেলিকপ্টারে বসেই এই জবাব দেন কংগ্রেস নেত্রী।
কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি এবার উত্তর প্রদেশের বিধানসভা ভোটের দায়িত্বে রয়েছেন। দিল্লি দখলের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে একেবারে সামনের দিক থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা।
উত্তর প্রদেশ দখলের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা। সাম্প্রতিক কালে তাঁর রাজনৈতিক সমাবেশ থেকে শুরু করে লড়কি হুঁ লড় সকতি হুঁ-এর মতো প্রচার অভিযানে যথেষ্ট সাড়া পেয়েছেন।
তবে এবারের নির্বাচনে তাঁর লড়াইটা মোটেই খুব একটা সহজ নয়। এবারে তাঁকে সরাসরি লড়তে হচ্ছে ক্ষমতাসীন শাসকদল বিজেপি এবং অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে।
সাম্প্রতিক কালে উত্তর প্রদেশে যে গতি উন্নয়নের বহর দেখা গিয়েছে, তা প্রিয়াঙ্কার জন্য লড়াইটা আরও কঠিন করে তুলেছে।