• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

আমি নেতাজির কাছে মাথা নত করি: প্রধানমন্ত্রী

নেতাজি সুভাষচন্দ্ৰ বসুর জন্মবার্ষিকী থেকে শুরু হল এবারের সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান। এর আগে ওই অনুষ্ঠান শুরু হত ২৪ জানুয়ারি থেকে।

নেতাজি সুভাষচন্দ্ৰ বসুর জন্মবার্ষিকী থেকে শুরু হল এবারের সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান। এর আগে ওই অনুষ্ঠান শুরু হত ২৪ জানুয়ারি থেকে। রবিবার সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ ইন্ডিয়া গেটে নেতাজির হলোগ্রাম স্ট্যাচুর আবরণ উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, যতদিন ইন্ডিয়া গেটে নেতাজির গ্রানাইটের মূর্তি স্থাপিত না হচ্ছে, ততদিন সেখানে হলোগ্রাম থাকবে।

এদিন সন্ধ্যায় মোদি ২০১৯, ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালের সুভাষচন্দ্র বোস আপৎ প্রবন্ধন পুরস্কার দেন। মোট সাতজনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ত্রাণের সময় যে ব্যক্তি বা সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা দিয়েছে, তাদের ওই পুরস্কার দেওয়া হয়।

পুরস্কার বাবদ কোনও ব্যক্তিকে দেওয়া হয় নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা এবং শংসাপত্র। কোনও সংগঠন পুরস্কার পেলে তাদের দেওয়া হয় ৫১ লক্ষ টাকা ও শংসাপত্র। গতবছর প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, নেতাজির জন্মদিনে প্রতি বছর ‘পরাক্রম দিবস’ পালন করা হবে।

এদিন মোদি টুইট করে বলেন, ‘সব দেশবাসীকে পরাক্রম দিবসের শুভেচ্ছা জানাই। নেতাজির জন্মদিনে আমি তাঁর উদ্দেশে মাথা নত করছি। তিনি দেশের জন্য যে অবদান রেখেছেন, তার জন্য প্রত্যেক ভারতবাসী গর্ব অনুভব করে।

নেতাজির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আগামী দিনে তাঁর সম্পর্কে দু’টি তথ্যচিত্র দেখাবে ফিল্ম ডিভিশন। সে ছবিগুলি দেখা যাবে ফিল্ম ডিভিশনের ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেলে। নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তির হলোগ্রাম উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

রবিবার সন্ধ্যায় তিনি এই মূর্তি উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। পরবর্তীকালে ইন্ডিয়া গেটে গ্রানাইট দিয়ে তৈরি নেতাজির মূর্তি স্থাপিত হবে। রবিবার মূর্তি উন্মোচনের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতমাতার বীর সন্তান নেতাজিকে কোটি কোটি প্রণাম।

এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এই মূর্তি স্বাধীনতার নায়কের প্রতি দেশের শ্রদ্ধাঞ্জলি। স্বাধীন ভারতের স্বপ্নপূরণ এখন সময়ের অপেক্ষা বলেই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, পৃথিবীর কোনও শক্তি নেই স্বপ্নপূরণের লক্ষ্য আটকাবে।

নেতাজি দেশভক্তির প্রতীক বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, নেতাজি আমাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে শিখিয়েছেন। স্বাধীন, অসাম্প্রদায়িক ভারতের বিশ্বাস জুগিয়েছিলেন।

তাঁর কথায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর বিষয়টি উঠে এসেছে। কী ভাবে দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে ঢেলে সাজান হয়েছে তারও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে আরও উন্নত ও শক্তিশালী করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

তাঁর কথায়, সারা দেশে এই বাহিনীকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করেন এই সদস্যরা। দেশের নানা বিপর্যয়ে নিজেদের জীবন বিপন্ন করে এরা উদ্ধার এবং বাঁচানোর কাজ করে।

মোদি আরও বলেন, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী শক্তিশালী হওয়ার কারণে আজ করোনার সঙ্গে লড়াই করা সহজ হয়েছে। বাংলা, ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ছে। কিন্তু বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দক্ষতার কারণেই বহু জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।