কুম্ভমেলায় গিয়েছিলেন পুন্য অর্জন করতে ফিরলেন পাপ করে। মহাকুম্ভে স্নান করাতে নিয়ে গিয়ে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, খুনের পর বাড়ি ফিরে অভিযুক্ত জানিয়েছেন, ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে গিয়েছেন স্ত্রী। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে দিল্লির বাসিন্দা ৪৮ বছর বয়সি অভিযুক্ত অশোক কুমারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি পুরসভার সাফাইকর্মী হিসেবে কাজ করতেন অশোক কুমার। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়াগরাজে গিয়েছিলেন তিনি। উদ্দেশ্য ছিল কুম্ভস্নানে পুণ্যার্জন করবেন। প্রয়াগরাজের ঝুসির আজাদনগরে একটি ঘরভাড়া নিয়েছিলেন তাঁরা। এরপর ১৯ ফেব্রুয়ারি সেই ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল এক মহিলার মৃতদেহ। ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল তাঁকে। ওই ঘরের মালিক থানায় অভিযোগ দায়ের করলে শুরু হয় তদন্ত। খতিয়ে দেখা হয় আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ। মৃতের পরিচয় পেতে সংবাদপত্র ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিলো।
২১ ফেব্রুয়ারি মায়ের খোঁজে ঝুসি থানায় পৌঁছন অশোক কুমারের দুই পুত্র অশ্বিনী ও আদর্শ। সেখানে মৃত মহিলার ছবি দেখে চিনতে পারেন তাঁরা। এরপরই কোমর বেঁধে তদন্তে নামে পুলিশ। খোঁজ শুরু হয় মৃতের স্বামী অশোকের। মৃতের পরিবারের তরফে পুলিশকে জানানো হয়, অভিযুক্ত অশোক বাড়ি ফিরে পরিবারকে জানিয়েছিল কুম্ভমেলার ভিড়ের তাঁদের মা হারিয়ে গিয়েছেন। ডিসিপি অভিষেক ভারতী জানিয়েছেন, মৃতের পরিবারের বয়ান ও প্রাথমিক তদন্তে স্পষ্ট হয়েছে এই হত্যার পিছনে রয়েছেন অশোক। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার করা হলে জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করেন তিনি।
লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত অশোক আরও জানিয়েছে, এক মহিলার সঙ্গে তাঁর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তাঁকে বিয়ে করতে গত ৩ মাস ধরে স্ত্রী মীনাক্ষীকে খুনের ছক কষেছিলেন তিনি। স্ত্রীকে খুন করতেই পরিকল্পনামাফিক প্রয়াগরাজে নিয়ে আসা হয়েছিলো। কিন্তু শেষরক্ষা হল না, পুলিশের হাতে ধরা পড়ল অভিযুক্ত।