ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’

ঘূর্ণিঝড় 'আম্ফান'(Image: Twitter/@weatherindia)

একে করোনার দাপট, এরপর ঘূর্ণিঝড়ের ঝাপট। রাজ্যের ওপর যেন বিপদের জোড়া ফলা। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপ শনিবার থেকেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। থাইল্যান্ড ওই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে ‘আম্ফান’।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে আজ রবিবার ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে ভয়ঙ্কর রূপ নেবে। মঙ্গল বুধবার নাগাদ এই ‘আম্ফান’ রাজ্যের উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আম্ফান মোকাবিলায় এনডিআরএফ-এর দুটি দলকে পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। শনিবারই দু’টি দল এসেছে রাজ্যে। এর মধ্যে একটি দল থাকবে সাগরদ্বীপে, অন্যটি কাকদ্বীপে।

আম্মান ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ প্রথমে উত্তরমুখী হলেও পরে তা বাঁক নিয়ে মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড়ের গতি পৌছতে পারে প্রতি ঘন্টায় ১৭০ থেকে ২০০ কিলোমিটার। তবে আছড়ে পড়ার সময় গতিবেগ কত হবে সেটা এখনই বলা যাবে না। গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।


কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার বলেন, গভীর নিম্নচাপ দিঘা থেকে কিলোমিটার দূরে রয়েছে। পরে উত্তর পূর্ব দিকে সরে যাওয়ার কথা। ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে ‘আম্ফান’ যদি এই রাজ্যের উপকূলে আছড়ে পড়ে, তা হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকছে। ক্ষতি হতে পারে চাষের। আম্ফান এই রাজ্যের উপকূলে ঝাপ্টা মারলে সঙ্কট বাড়বে রাজ্যের। এর মোকাবিলায় প্রশাসনের তরফে সকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, আম্ফানের প্রভাবে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলে প্রবল জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। তার প্রভাব পড়তে পারে গাঙ্গেয় উপকূলের সব জেলাতে। তবে শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় আস্ফানের বাংলাদেশের দিকে বেঁকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।