মঙ্গলবার বড়সড় ধাক্কার মুখে পড়ল ভারতের শেয়ার বাজার। সেনসেক্স, নিফটি ১ শতাংশ করে নিচের দিকে নেমে যায়। এদিন সেনসেক্স শেষ হয় ৭৫, ৮৩৮.৩৬ পয়েন্টে। অন্যদিকে নিফটি শেষ হয় ২৩,০২৪.৭৫ পয়েন্টে। এর পাশাপাশি এদিন এনটিপিসি, আদানি পোর্ট, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, এসবিআই, রিলায়েন্সের মতো সংস্থাগুলি লাভের মুখ দেখতে পায়নি।
সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর মঙ্গলবার বাজার খুলতেই হুড়মুড়িয়ে নামতে থাকে সেনসেক্স ও নিফটির সূচক। একদিনে বিনিয়োগকারীদের ৫ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি পতন লক্ষ্য করা যায় মিডক্যাপ ও স্মলক্যাপ সংস্থাগুলিতে। জোম্যাটো, ডিক্সন টেকনো, ওবেরয় কল্যাণ জুয়েলার্সের মতো নামি সংস্থাগুলি লাভের মুখ দেখেনি। তবে এই খারাপ পরিস্থিতিতেও লাভের মুখ দেখেছে হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম, ভারত পেট্রোলিয়াম, অ্যাপোলো হাসপাতালের মতো শেয়ার।
কিন্তু কেন এই বিরাট ধাক্কা শেয়ার বাজারে? বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড অয়েলের দাম বৃদ্ধি। গত কয়েকমাস ধরে লাগাতার দাম বেড়েছে ক্রুড অয়েলের। যার প্রভাব সরাসরি পড়েছে বাজারে। দ্বিতীয়ত, মার্কিন ডলারের তুলনায় টাকার দাম ক্রমশ দুর্বল হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণ ভারতের বাজারে বড় ধাক্কা। ভারত-সহ একাধিক দেশের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছেন ট্রাম্প। এর পাশাপাশি অভিবাসন নীতি নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত বড় প্রভাব ফেলে ভারতের শেয়ার বাজারে।
আর কয়েকদিন পরেই ভারতের বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ফলে সেখান থেকে ভারতের পরবর্তী নীতি কী হতে পারে সেদিকে নজর রাখতে অনেকেই শেয়ার বাজারে লগ্নি করতে দোলাচলে রয়েছেন।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই সব উত্থান-পতনের প্রভাব যেমন বাজারে পড়েছে, তেমনই আভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে খুব একটা স্থিতিশীল নয় দেশের বাজার। অতীতের মতো এবারও নতুন বছরের শুরুতে শেয়ার বিক্রির প্রবণতা দেখা গিয়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। তাছাড়া একাধিক সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি কম হতে পারে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে। এর প্রভাব শেয়ারবাজারে পড়তে শুরু করেছে এখন থেকেই।