চন্দ্রযান-২’এর উৎক্ষেপণের সময় ইসরাের যা হিসেব-নিকেশ ছিল, তাতে ল্যান্ডারের একটা পুরাে চান্দ্রদিন (লুনার ডে) সূর্যের আলাে পেতে পারে। একটি চান্দ্রদিন পৃথিবীর ১৪টি দিনের সমান।
কতদিন পর্যন্ত চেষ্টা চালাবে ইসরাে?
চন্দ্রযান-২’এর উৎক্ষেপণের সময় ইসরাের যা হিসেব-নিকেশ ছিল, তাতে ল্যান্ডারের একটা পুরাে চান্দ্রদিন (লুনার ডে) সূর্যের আলাে পেতে পারে। একটি চান্দ্রদিন পৃথিবীর ১৪টি দিনের সমান। ৭ সেপ্টেম্বর থেকে এই চান্দ্রদিন শুরু হয়েছে। তার পরই চাঁদে নেমে আসবে হিমশীতল দীর্ঘ রাত। স্বাভাবিকভাবেই সেই সময় কোনও শক্তি উৎপন্ন করতে পারবে না বিক্রম। তাই এই চান্দ্রদিন শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিক্রমের খোঁজ ছাড়বে না ইসরাে।
বিক্রমের নিজস্ব কোনও শক্তির উৎস আছে কি?
বিক্রমের বাইরের অংশ সােলার প্যানেল রয়েছে। বিক্রম পরিকল্পনামাফিক চাঁদে অবতরণ করলে সেই সৌরপ্যানেল শক্তি উৎপাদন শুরু করে দিত। এছাড়াও বিক্রমের মধ্যে ব্যাটারিও রয়েছে, যা শক্তি উৎপন্ন করতে পারে। তবে আছড়ে পড়ার পর আদৌ বিক্রমের প্যানেল শক্তি উৎপাদন করেছে কিনা, তা স্পষ্ট করে জানাতে পারেননি ইসরাের বিজ্ঞানীরা। শুধু ইসরাের চেয়ারম্যানকে শিবন জানিয়েছেন, সব তথ্য খতিয়ে দেখছে ইসরাে। পাশাপাশি, আছড়ে পড়ার পর এই যন্ত্রাংশগুলাে আদৌ শক্তি উৎপাদন করার মতাে ক্ষমতায় আছে কিনা, তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা।
কীভাবে সাড়া দিতে পারে বিক্রম?
বিক্রমের মধ্যে রয়েছে তিনটি ট্রান্সপন্ডার পাশাপাশি, এর মাথায় রয়েছে গম্বুজ আকৃতির একটি অ্যান্টেনা। ল্যান্ডার এই তিনটি অংশের মাধ্যমে বিক্রমর সঙ্গে যােগাযােগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ন্যূনতম কোনও সিগন্যাল পেলেই যাতে অরবাইটার বিক্রমের সঙ্গে যােগাযােগ স্থাপন করতে পারে তবে চাঁদের উপর আছড়ে পড়ার ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও কোনও সিগনাল মেলেনি। এখানে অবশ্য একটি বিষয় আছে। যােগাযােগ স্থাপনের জন্য বিক্রমের তিনটি ট্রান্সপন্ডার এবং অ্যান্টেনা থাকা প্রয়ােজন। ইসরাে এখনও জানায়নি আদৌ বিক্রমের এই অংশগুলাে অক্ষত অথবা যােগাযােগ করার মতাে অবস্থায় আছে কি না।
বিক্রমের সঙ্গে কেমনভাবে যােগাযােগের চেষ্টা চালাচ্ছে ইসরাে?
ইসরাের বিজ্ঞানীরা জানেন, কোন ফ্রিকোয়েন্সিতে সাড়া দেবে বিক্রম। সেই ফ্রিকোয়েন্সি নিয়মিত পাঠিয়ে বিক্রমকে জাগানাের চেষ্টা চালাচ্ছে ইসরাে। তবে এখনও কোনও সাড়া দেয়নি বিক্রম। বেঙ্গালুরুর উপকণ্ঠে বায়ালুলুতে ৩২ মিটারের একটি অ্যান্টেনা বসানাে রয়েছে। ইন্ডিয়ান ডিপ স্পেস নেটওয়ার্কের (আইডিসএন) আওতায় রয়েছে এই অ্যান্টেনা। সেই অ্যান্টেনার মাধ্যমে পাঠানাে হচ্ছে বিভিন্ন নির্দেশ। এর পাশাপাশি অরবাইটারের সঙ্গে বিক্রমের যােগাযােগ স্থাপনের চেষ্টা চলছে। পাঠানাে হচ্ছে অন্যরকম কিছু নির্দেশও। তবে এখনও সাফল্য আসেনি।