চেন্নাই, ২৩ মে – বোমা বিস্ফোরণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি মেল পাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আবার হুমকি। তবে এবার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মেরে ফেলার হুমকি ফোন। হুমকি ফোন পেল এনআইএ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে এনআইএ-র কার্যালয়ে এই ফোন আসে৷ অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি এনআইএ-র কন্ট্রোল রুমে ফোন করে হিন্দি ভাষায় প্রধানমন্ত্রীকে খুন করার হুমকি দেয়।
২২ মে, বুধবার, দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়, নর্থ ব্লক উড়িয়ে দেওয়ার একটি হুমকি মেল তাদের কাছে পৌঁছয়। এরপরই অমিত শাহের অফিসে পৌঁছে যায় দিল্লি পুলিশের বিশাল টিম। নিয়ে যাওয়া হয় বম্ব স্কোয়াড এবং দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। যদিও প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর সন্দেহজনক কিছু মেলেনি। পরে এই মেলকে ভুয়ো মেল বলে জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৷ তারপরই ২৩মে, এনআইএ-র কার্যালয়ে ফের হুমকি ফোন। আধিকারিকরা সঙ্গে সঙ্গে চেন্নাই পুলিশে খবর দেয়৷ যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল, সেই নম্বরটিও পুলিশকে দেওয়া হয়েছে৷ চেন্নাইয়ের সাইবার ক্রাইম শাখা এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে৷ তবে কোথা থেকে এই ফোন এসেছিল, ফোন করতে কোন সিম কার্ড ব্যবহার করা হয়েছিল, সাইবার ক্রাইম পুলিশ এই তথ্যগুলির সন্ধান করছে৷
মাসখানেক ধরেই দিল্লি, রাজস্থানের জয়পুর, গুজরাতের একাধিক স্কুলে হুমকি মেল আসে৷ ১ মে সকালে দিল্লির প্রায় ১০০টি স্কুলে বোমার হুমকি ই-মেল পাঠানো হয়৷ পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানায়, ভুয়ো হুমকি মেল পাঠানো হয়েছে৷ এর পরের দিনই দিল্লির বাইরের নাংলোই এলাকায় একটি বোমা রাখা আছে বলে মেল পাঠায় এক কিশোর ৷ এরপর ৬ মে গুজরাতের ৬টি স্কুলে বোমা রয়েছে বলে হুমকি মেল পাঠানো হয়৷ এর পরের দিনই গুজরাতে লোকসভা নির্বাচন ছিল৷ স্বভাবতই ভোটের আগে এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ৷১২ মে দিল্লির একাধিক হাসপাতাল এবং ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বোমা হামলার হুমকি মেল দেওয়া হয়৷ লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন এই ধরনের হুমকিকে একেবারেই লঘু করে দেখছে না প্রশাসন।