• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

জ্ঞানবাপী মসজিদের তেহখানায় হিন্দুরা পুজো করতে পারবে, রায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের 

দিল্লি, ২৬ ফেব্রুয়ারি –  জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজো করতে পারবেন হিন্দুরা । রায় বহাল রাখল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সোমবার শুনানিতে জ্ঞানবাপীর ব্যাস তেহখানায় পুজোর বিরুদ্ধে মসজিদ পক্ষের আবেদন খারিজ করে দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। জ্ঞানবাপীর বেসমেন্টে পুজার্চনা শুরু হওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মুসলিম আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। কিন্তু তাঁদের আবেদন খারিজ করে দিয়ে, এলাহাবাদ হাইকোর্ট স্পষ্ট বলে দেয়, জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘ব্যস

দিল্লি, ২৬ ফেব্রুয়ারি –  জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজো করতে পারবেন হিন্দুরা । রায় বহাল রাখল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সোমবার শুনানিতে জ্ঞানবাপীর ব্যাস তেহখানায় পুজোর বিরুদ্ধে মসজিদ পক্ষের আবেদন খারিজ করে দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। জ্ঞানবাপীর বেসমেন্টে পুজার্চনা শুরু হওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মুসলিম আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। কিন্তু তাঁদের আবেদন খারিজ করে দিয়ে, এলাহাবাদ হাইকোর্ট স্পষ্ট বলে দেয়, জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘ব্যস জি কা তয়খানাতে’ হিন্দুদের পুজোপাঠ জারি থাকবে। 

বারাণসী আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদের ব্যাস তেহখানায় পুজোর অনুমতি দিয়েছিল। সেই রায়ের বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টে দুটি আবেদন করেছিল মসজিদ কর্তৃপক্ষ।  সোমবার সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়।   বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়ালের সিঙ্গল বেঞ্চ এই রায় দেয়।  বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের তেহখানায় পুজো, আরতি চালিয়ে যেতে পারবেন হিন্দুরা। এর আগে বারাণসী জেলা আদালত জ্ঞানবাপীর তহখানায় হিন্দুদের পুজো এবং আরতি করার অনুমতি দিয়েছিল। কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্ট কী ভাবে জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে পুজো করার অনুমতি পায়, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয় মুসলিম পক্ষ। এবিষয়ে বারাণসী জেলা বিচারক আগেই নির্দেশে জানিয়েছিলেন, জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজো চলবে। বিচারক ওই নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন, সাত দিনের মধ্যে মসজিদের দক্ষিণ দিকের ভূগর্ভস্থ পাতাল ঘরে পুজোর আয়োজন করতে হবে।
 

সেই নির্দেশের পরই,  জ্ঞানবাপী মসজিদের ব্যাসের তেহখানায় আবার সমস্ত উপচারে পুজো করা হয়। যা নিয়ে আপত্তি তোলেন মসজিদের দায়িত্বে থাকা অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। বারাণসী আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মুসলিম পক্ষ। সোমবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট বারাণসী জেলা আদালতের ৩১ জানুয়ারির রায় বহাল রাখে।প্রসঙ্গত, তেহখানা হচ্ছে মসজিদের নীচের ভূগর্ভস্থ ঘর বা পাতালঘর। জ্ঞানবাপী মসজিদের নীচে এমন চারটি তেহখানা রয়েছে। এর মধ্যেই দক্ষিণ দিকের তেহখানাটি এখনও ব্যাস পরিবারের মালিকানাধীন। তাই তেহখানাটির নাম ‘ব্যাস কি তেহখানা’। সেখানেই পুজো করা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত।