হিন্দুদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই হিন্দু স্বাভিমান যাত্রা : গিরিরাজ সিং

হিন্দুদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই হিন্দু স্বাভিমান যাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী গিরিরাজ সিং। আজ, শুক্রবার বিহারের ভাগলপুর থেকে হিন্দু স্বাভিমান যাত্রা শুরু হচ্ছে।

সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে গিরিরাজ সিং বলেন, আমি বিশ্বাস করি গোটা দেশের জনবিন্যাস পুরোপুরি বদলে গিয়েছে। এটা নিয়ে ভাবার সময় এসে গিয়েছে। ভোট ব্যবসায়ীদের জন্যই এমনটা ঘটেছে। শুধুমাত্র সাহেবগঞ্জ, পূর্ণিয়া বা কাটিহারে নয়, দেশের ৪০০টি জেলার জনবিন্যাস পুরোপুরি বদলে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রীর দাবি, দেশ এখন একেবারেই নিরাপদ নয়। ওরা ভারতে শরিয়ত আইন ফিরিয়ে আনতে চায়।

গিরিরাজ সিংয়ের কথায়, ওরা ভারতে শরিয়ত আইন আনতে চায়। কিন্তু আমাদের মতো লোকেরা যতদিন দেশে আছে, ততদিন আমরা এর বিরোধিতা করব।


এই যাত্রা বিহারের ভাগলপুর থেকে শুরু হবে। শেষ হবে কিষাণগঞ্জে। গিরিরাজ সিংয়ের হিন্দু স্বাভিমান যাত্রা মুসলিম অধ্যুষিত জেলাগুলির মধ্যে দিয়ে যাবে, যেখানে হিন্দুরা ভয় এবং হুমকি মাথায় করেই দিন কাটায়। ১৮ অক্টোবর ভাগলপুর থেকে শুরু হয়ে এই যাত্রা ১৯ অক্টোবর কাটিহার পৌঁছবে। এরপর ২০ অক্টোবর পূর্ণিয়া, ২১ অক্টোবর আরারিয়া হয়ে ২২ অক্টোবর কিষাণগঞ্জে শেষ হবে হিন্দু স্বাভিমান যাত্রা। এটাই এই যাত্রা প্রথম পর্যায়। দ্বিতীয় পর্যায়ের সূচি এখনও ঘোষণা করা হয়নি। এই যাত্রা ইতিমধ্যেই বিহারের রাজ্য-রাজনীতিতে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে।

আরজেডি এবং কংগ্রেস এই যাত্রার বিরোধিতা করেছে। অন্যদিকে, জেডিইউ-ও খুব একটা খুশি নয় এই যাত্রায়। এর কারণ পরিষ্কার। এই যাত্রার মাধ্যমে আসলে মুসলিম বিরোধিতা করে হিন্দুদের তোষণ করতে চাইছে বিজেপি, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

যদিও এই যাত্রার সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছে বিজেপি। সোমবার বিহার বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে, ব্যক্তিগত উদ্যোগে গিরিরাজ সিং এই জাতীয় যাত্রার আয়োজন করছেন। অন্যান্য বিজেপি নেতারাও চাইলে ব্যক্তিগত ভাবে এই যাত্রায় অংশ নিতে পারে।