• facebook
  • twitter
Wednesday, 20 November, 2024

১৫০ কোটি টাকা বকেয়া , দিল্লির হিমাচল ভবন নিলাম করার নির্দেশ হিমাচল হাই কোর্টের 

বিদ্যুতের বকেয়া বিল না মেটানোয় দিল্লির হিমাচল ভবন নিলাম করার নির্দেশ দিল হিমাচল প্রদেশ হাই কোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্ট বলে, যে সমস্ত আধিকারিকদের গাফিলতিতে পাহাড়প্রমাণ বকেয়া টাকা জমেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হবে। জানা গিয়েছে, একটি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার কাছে অন্তত ১৫০ কোটি টাকা বকেয়া জমে রয়েছে হিমাচল প্রদেশ সরকারের।সোমবার, ১৮ ই নভেম্বর, হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্ট দিল্লিতে হিমাচল ভবন নিলাম করার আদেশ জারি করে। হিমাচল ভবন নতুন দিল্লির মান্ডি হাউসে অবস্থিত।

বিদ্যুতের বকেয়া বিল না মেটানোয় দিল্লির হিমাচল ভবন নিলাম করার নির্দেশ দিল হিমাচল প্রদেশ হাই কোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্ট বলে, যে সমস্ত আধিকারিকদের গাফিলতিতে পাহাড়প্রমাণ বকেয়া টাকা জমেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হবে। জানা গিয়েছে, একটি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার কাছে অন্তত ১৫০ কোটি টাকা বকেয়া জমে রয়েছে হিমাচল প্রদেশ সরকারের।সোমবার, ১৮ ই নভেম্বর, হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্ট দিল্লিতে হিমাচল ভবন নিলাম করার আদেশ জারি করে। হিমাচল ভবন নতুন দিল্লির মান্ডি হাউসে অবস্থিত।

 
প্রথমে বকেয়ার পরিমাণ ছিল ৬৪ কোটি টাকা। কিন্তু তা মেটাতে পারেনি হিমাচল প্রদেশের সুখবিন্দর সুখুর সরকার। সেই বকেয়া এখন বেড়ে হয়েছে ১৫০ কোটি। সূত্রের খবর, লাহুল-স্পিতি এলাকায় চেনাব নদীতে ৪০০ মেগাওয়াটের সেলি হাইড্রো প্রজেক্টের সঙ্গে এই মামলার যোগ রয়েছে ।  তবে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। তবে এই বিষয়ে কংগ্রেস সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি।
 
২০০৯ সালে, হিমাচল প্রদেশ সরকার সেলি হাইড্রো কোম্পানিকে লাহুল এবং স্পিতি জেলায় একটি ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলার অনুমতি দেয় । প্রকল্পের রাস্তা নির্মাণে সহায়তা করার জন্য সীমান্ত সড়ক সংস্থাকেও পাঠানো হয়েছিল। চুক্তি ছিল , রাজ্য সরকারকে হাইড্রো ফার্মের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা সরবরাহ করতে হবে যাতে এটি নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু করতে পারে। কিন্তু সংস্থাটি ২০১৭ সালে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করে। ফার্মের আইনজীবী আদালতকে জানান যে, প্রকল্পটি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নানা অসুবিধে হওয়ার কারণে সংস্থাটি এটি বন্ধ করে সরকারকে ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছিল।
 
এর আগেও রাজ্যের কংগ্রেস সরকারকে সতর্ক করেছিল হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্ট। বকেয়া না মেটালে আগামী দিনে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলেও জানানো হয়েছিল আদালতের তরফে। শেষ পর্যন্ত হিমাচলের উচ্চ আদালত রায় দিয়েছে, হিমাচল ভবন এবার বাজেয়াপ্ত করে নিলামে তোলা হবে। সেখান থেকেই সংগ্রহ করা হবে বকেয়া অর্থ। পাশাপাশি হিমাচলের বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গড়ে সেই আধিকারিকদের চিহ্নিত করতে হবে যাদের জন্য এই বিপুল অঙ্কের বকেয়া জমেছে।

হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং বলেন, আদালতের নির্দেশ ভালো করে জেনে তার পরেই এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করবেন তিনি। তবে কংগ্রেস সরকারকে তোপ দেগে বিজেপি নেতা জয়রাম ঠাকুর বলেন, ‘হিমাচল ভবন নিলাম হওয়া রাজ্যের পক্ষে খুবই অপমানজনক। সরকার যদি এইভাবে আর্থিক বিষয়গুলোকে উপেক্ষা কর‍ে তাহলে আমাদের সমস্ত সম্পদই নিলাম হয়ে যাবে।’