কেজরিওয়ালের শুনানি চলাকালীন ভিডিয়ো রেকর্ডিং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরানোর নির্দেশ উচ্চ আদালতের 

 দিল্লি, ১৫ জুন – দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে নিতে বলে তাঁর স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়ালকে নোটিস পাঠাল দিল্লি হাই কোর্ট। পাশাপাশি ওই ভিডিওটি সমাজমাধ্যম থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স এবং ইউটিউবকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া  কর্তৃপক্ষকে আদালত জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এই ধরনের কিছু চোখে পড়লে তা-ও সরিয়ে দিতে হবে।

 
আবগারি ‘দুর্নীতি’ মামলায় গ্রেফতার দিল্লির মুখ্যমন্ত্র অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গ্রেফতারির পর গত ২৮ মার্চ দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারক কাবেরী বাওয়েজার বিশেষ বেঞ্চে দ্বিতীয় বারের জন্য হাজির করানো হয়েছিল কেজরিওয়ালকে। অভিযোগ, আদালতে যখন কেজরি নিজের বক্তব্য রাখছিলেন, সেই সময়ে তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা ভিডিও রেকর্ড করেন। কোর্টের ভিতরে তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিও রেকর্ডিং পরে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন আপ নেতা-কর্মীরা। সুনীতাও তেমনই একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন এক্সে, যা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। এই ভিডিও ভাইরাল হওয়া নিয়ে দিল্লি হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। 
 
বৈভব সিংহ নামে এক আইনজীবী কেজরিওয়ালের ভিডিওটির বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা করেন। মামলাকারীর বক্তব্য, আদালত কক্ষের ভিতরের এই ধরনের ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ, তা দিল্লি হাইকোর্টের ভিডিও কনফারেন্সিং নিয়মের বিরোধী। ২০২১ সাল থেকে ওই নিয়ম চালু রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, আদালতের ভিতরের কোনও প্রক্রিয়ার ভিডিও রেকর্ড করা যায় না। সমাজমাধ্যমে এই ধরনের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়াও যায় না। কেজরির ওই  ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে আপ নেতারা বিচারব্যবস্থাকে অপমান করেছেন বলে দাবি ওই মামলাকারীর। একে কেজরিওয়াল এবং আপের চক্রান্ত বলেও আদালতে উল্লেখ করেছেন মামলাকারী।
 
গত ২৮ মার্চ দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে শুনানিপর্বে বক্তব্য রাখেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেজরিওয়াল বলেছিলেন, ‘আমাকে গ্রেফতার করা হলেও আদালত আমাকে দোষী প্রমাণিত করতে পারেনি। সিবিআই  ও ইডির তরফে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। তবে ওই চার্জশিট যদি পড়ে দেখা যায় তবে একটাই প্রশ্ন উঠবে কেন আমায় গ্রেফতার করা হল।’

শনিবার শুনানিতে উচ্চ আদালত সুনীতাকে একটি নোটিস দিয়ে অবিলম্বে ওই ভিডিও নিজের সমাজমাধ্যমের দেওয়াল থেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ফেসবুক, এক্স, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিকেও ভিডিওটি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই রেকর্ডিং সংক্রান্ত যত পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়েছে সেইসবও তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৯ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।