• facebook
  • twitter
Friday, 10 January, 2025

ভেষজ ওষুধ বিক্রির নামে প্রতারণা, গুরুগ্রামে ধৃত ১১

গুরুগ্রাম সাইবার পুলিশ স্টেশন একটি ভুয়ো কল সেন্টারের সন্ধান পেয়েছে, যারা অনলাইনে ভেষজ ওষুধ বিক্রির নামে মানুষকে প্রতারণা করছিল।

প্রতীকী ছবি।

ভেষজ ওষুধ বিক্রির নামে প্রতারণা, গুরুগ্রামে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। গুরুগ্রাম সাইবার পুলিশ স্টেশন একটি ভুয়ো কল সেন্টারের সন্ধান পেয়েছে, যারা অনলাইনে ভেষজ ওষুধ বিক্রির নামে মানুষকে প্রতারণা করছিল। দুন্ডাহেরা গ্রামে গত ১০ মাস ধরে একটি ভুয়া কল সেন্টার পরিচালনা করছিল প্রতারকরা। অভিযুক্তরা ওষুধ পাঠানোর নামে এবং পরিষেবা চার্জের নামে প্রতারণা করত।

পুলিশ অভিযান চালিয়ে কল সেন্টারে কর্মরত চার মেয়ে-সহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি ল্যাপটপ, চারটি মোবাইল ফোন এবং ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা পশ্চিম সাইবার পুলিশ স্টেশনে ৩১৮, ৩১৯, ৬১২ বিএনএস এবং ৬৬ডি আইটি আইনের ধারায় মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

এসিপি সাইবার প্রিয়াংশু দিওয়ান জানিয়েছেন, দুন্ডাহেরা গ্রামে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের তথ্য পাওয়া গিয়েছে, যারা অনলাইনে ভেষজ ওষুধ বিক্রির নামে লোকজনকে প্রতারণা করছে। এ বিষয়ে তিনি পশ্চিম সাইবার পুলিশ স্টেশনকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তদন্তকারীরা একটি বাড়িতে কিছু লোককে খুঁজে পায়, যারা অনলাইনে ভেষজ ওষুধ বিক্রির নামে লোকেদের সাথে প্রতারণা করছে।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চার যুবতী-সহ ১১ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতরা হলেন – অমনদীপ, রঞ্জিত কুমার, মোহাম্মদ কাসিম, প্রতুষ কুমার মিশ্র, সুশীল কুমার, ব্রিজেশ শর্মা, অনুপ কুমার, রাশিকা রানা, ইশা, সোনালি কানোজিয়া এবং মেঘা। অভিযুক্তরা সকলেই বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লির বাসিন্দা।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা স্বীকার করেছে, অমনদীপ এবং রঞ্জিত কল সেন্টারের পরিচালক। বাকি অভিযুক্তরা চাকরি করত সেখানে। অভিযুক্তরা ফেসবুকে ওষুধের বিজ্ঞাপন পোস্ট করত। এর পর সেই বিজ্ঞাপণ দেখে কেউ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তারা সেই লোকদের কাছ থেকে অর্ডার নিত। এরপর বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেওয়ার কথা বলত। টাকা নিলেও যারা অর্ডার দিত, তাদের কাছে জাল জিনিসপত্র পাঠাত অভিযুক্তরা।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে, গত দশ মাস ধরে দুন্ডাহেরা গ্রামে একটি কল সেন্টার চলছিল। জালিয়াতির ঘটনাগুলি চালানোর জন্য, অভিযুক্তদের ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা বেতনে নিয়োগ করা হয়েছিল। টার্গেট পূরণ করলে কর্মচারীরা বেতনের সঙ্গে বোনাসও পেতেন।