আগামী ২৮ নভেম্বর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছেন জেএমএম শীর্ষ নেতা হেমন্ত সোরেন। এরফলে ঝাড়খণ্ডের ইতিহাসে এটাই হবে ১৪তম মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। ইতিমধ্যে হেমন্ত ইন্ডিয়া ব্লকের বিধানসভার নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। সেই সুবাদে রবিবার রাজ্যপাল সন্তোষ কুমার গ্যাংওয়ারের সঙ্গে দেখা করে তাঁর নেতৃত্বে সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যপালের কাছে সরকার গঠনের দাবি জানানোর আগে সোরেন মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
প্রসঙ্গত এবারের বিধানসভা ভোটে হেমন্তের এক উল্লেখযোগ্য প্রত্যাবর্তন ঘটেছে। ৮১ আসন বিশিষ্ট ঝাড়খন্ড বিধানসভার নির্বাচনে সোরেনের নেতৃত্বাধীন জেএমএম জোট ৫৬টি আসনে জয়লাভ করে টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে বিজেপি-র নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রচার সত্ত্বেও মাত্র ২৪টি আসনে জয়লাভ করেছে।
রবিবার রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর জেএমএম-এর কার্যনির্বাহী সভাপতি হেমন্ত সোরেন সাংবাদিকদের বলেন,’আগামী ২৮ নভেম্বর নতুন সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। আজ থেকে আমরা ইন্ডিয়া ব্লকের জোট সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আমরা রাজ্যপালের কাছে সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছি। আমিও তাঁর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।’
সোরেন বলেন, রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে কংগ্রেস, বাম ও আরজেডি-র নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরও বলেন যে, রাজ্যপাল সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং নতুন সরকার শপথ না নেওয়া অবধি তাঁকে তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বও দিয়েছেন।
এদিকে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার আগেই বিধানসভার নেতা নির্বাচনের জন্য ইন্ডিয়া ব্লকের একটি সভা ডাকা হয়েছিল। রাঁচিতে কংগ্রেস নেতা সুবোধ কান্ত সহায় বলেন, ‘সমস্ত দলের কর্মী ও নেতারা তাঁদের সমর্থন বাড়িয়েছেন। এবং হেমন্ত সোরেনকে ঝাড়খণ্ড বিধানসভার নেতা হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, এবার দুই দফায় ঝাড়খণ্ডের ৮১টি আসনের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৩ নভেম্বর প্রথম দফা ও ২০ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন হয়। ইন্ডিয়া ব্লকে জেএমএম ৪১টি, কংগ্রেস ৩০টি, আরজেডি ৬টি এবং সিপিআই (এমএল) একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। প্রথম দফায় রাজ্যের ৬৭.৭৪ শতাংশ এবং দ্বিতীয় দফায় ৬৮.৯৫ শতাংশ ভোটার ভোটপ্রদান করেন। ২০১৯ সালে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ৮১টি আসনের মধ্যে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট ৪৭টি আসনে জয়লাভ করে। বাকি আসনগুলি বিজেপি-র দখলে যায়।