এক ফ্রেমে ধরা পড়েছেন বিহার রাজনীতির হেভিওয়েট নেতারা । ছবিতে দেখা গিয়েছে লালুপ্রসাদের পাটনার বাড়িতে নীতীশ কুমার, লালুপ্রসাদ যাদব, রাবড়ি দেবী ও তেজস্বী যাদব একে অপরের সঙ্গে বাক্যালাপ করছেন, হাসি বিনিময় করছেন। ছবি ভাইরাল হতেই আন্দোলিত হল বিহারের রাজনীতি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন ছবিটি পোস্ট করে দাবি করেছেন, ৫ সেপ্টেম্বর নীতীশ কুমার , লালুপ্রসাদ -রাবড়ি দেবীর বাড়িতে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ সময় অতিবাহিত করেছেন।
দুই বছর আগে, ২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর দিনটিতেই নীতীশ কুমার গিয়েছিলেন লালুপ্রসাদ ও রাবড়ি দেবীর পাটনার বাড়িতে। সেই ছবিই ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পরে সর্বত্র। কিন্তু পুরোনো ছবি ভাইরাল হলেও তা নিয়ে চর্চা বন্ধ হয়নি। ছবিটি ২০২৪-এর নয় জানানোর পরও বহু মানুষ তা মানতে চাননি।পুরোনো সেই ছবি নিয়ে নানা মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ মজার ছলে কমেন্ট করেন, আবার কেউ মন্তব্য করেন, রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই। লালুপ্রসাদের অনুগামীরা বলেন, নীতীশবাবু ভুল শুধরে আবার আরজেডির হাত ধরলে তাঁকে স্বাগত। তাতে মঙ্গল হবে। ২০২৫-এ ফের নীতীশ কুমারই হবেন মুখ্যমন্ত্রী ।
ছবি নিয়ে জল্পনা কল্পনা যখন তুঙ্গে, তখন তাতে নতুন মাত্রা যোগ করে বিকেলের এক বৈঠক। রাজ্যের তথ্য কমিশনার নিয়োগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের বৈঠকে হাজির হন তেজস্বী যাদব। নীতীশ ফের বিজেপিতে যোগদান করার পর বৃহস্পতিবার প্রথম মুখোমুখি বৈঠক করেন তাঁরা । সেই বৈঠক ঘিরে আবার নতুন করে গুঞ্জন ছড়ায় তাহলে কি লালু-নীতীশ ফের সমঝোতার পথে ?
২০২৫-এর নভেম্বরে বিহার বিধানসভার ভোট। বিজেপি এবার মুখ্যমন্ত্রী পদ দাবি করবে। লালুপ্রসাদ চান ছেলে তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রী করতে। এদিকে নীতীশের শারীরিক পরিস্থিতিও ভাল নয়। দলে তাঁর উত্তরসুরীও বর্তমানে তেমন কেউ নেই। আবার দিল্লিতে মোদি-নীতীশের মতভেদ বাড়ছে। সব মিলিয়ে বিহারের রাজনীতির ভবিষ্যৎ অনেকটাই টালমাটাল । তাই দু বছরের পুরনো ছবি থেকেই ভবিষ্যতের রাজনৈতিক রসদ খুঁজছে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে আমজনতা ।