ভারী বৃষ্টি এবং বন্যা পরিস্থিতির কারণে সবচেয়ে পিবর্যস্ত রাজস্থান। রাজ্যের করাউলি এবং হিন্দুয়ানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাজধানী জয়পুরের নিচু এলাকাগুলি জলের তলায় চলে গিয়েছে। ফুঁসছে বিভিন্ন নদীগুলি। ভরতপুরে নদীতে নেমে স্নান করার সময় ডুবে মৃত্যু হয় সাত জনের। ঝুনুঝুনুতে পুকুরে ডুবে প্রাণ হারিয়েছেন তিন জন। করৌলিতে বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হয়েছে ১২ বছরের এক কিশোর এবং এক প্রৌঢ়ের। জয়পুরে জলপ্রপাতে ঘুরতে যাওয়া ছয়জনের মধ্যে পাঁচ জন ভেসে যায়। একজন কোনওরকমে নিজের প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হয়। কিন্তু বাকি পাঁচজন মারা যান। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা। এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘সবকিছুর আগে রাজ্যের সকল নাগরিকের সুরক্ষাকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। ভারী বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত রাজস্থান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে কীভাবে কাজে লাগানো হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুর্যোগের মধ্যে সবরকম ব্যবস্থা করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।’ সাতটি জেলায় সোমবার স্কুল সম্পূর্ণ বন্ধ। জয়পুর, জয়পুর গ্রামীণ, করৌলি, গঙ্গাপুর সিটি, সাওয়াই মাধোপুর, দৌসা এবং ভরতপুরের স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
পাঞ্জাবের হোসিয়ারপুরে প্রবল জলস্রোতে গাড়ি ভেসে যাওয়ায় মৃত্যু হয়েছে এক পরিবারের আট জন-সহ মোট ন’জনের। নিখোঁজ দুই। তাঁদের গাড়িটি মৌসুমী নদীতে ভেসে গিয়েছিল। হিমাচল প্রদেশের উনায় হড়পা বানে ভেসে গিয়ে একই পরিবারের সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হচ্ছে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানাতেও। হরিয়ানার যমুনানগর জেলার সোম নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।