বৃষ্টির জেরে মুম্বইয়ে বহুতল ধসে মৃত ১, ধ্বংসস্তূপে আটকে বহু

জারি হলুদ সতর্কতা, বন্ধ স্কুল  
মুম্বই, ২০ জুলাই– গত কয়েকদিন ধরেই মুম্বইয়ে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে৷ শুক্রবার ৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের পর শনিবার সকাল থেকেও শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টিপাত৷ সেই সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপের প্রভাবে সাগরও উত্তাল৷ এদিন বেলা ১১টা ২৮ মিনিটে মুম্বই শহর সংলগ্ন সাগরে ঢেউয়ের সর্বোচ্চ উচ্চতা ছিল প্রায় ৪.২৮ মিটার৷ ফলে সাগরের জল ঢুকে শহরের জলমগ্ন পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে৷

অন্যদিকে, বৃষ্টির জেরে এদিন মুম্বইয়ের গ্র্যান্ড রোড এলাকায় এক বিল্ডিংয়ের একাংশ ধসে পড়ায় মৃতু্য হয়েছে এক মহিলার৷ আহত হয়েছেন তিনজন৷ ধ্বংসস্তূপে বেশ কয়েকজনের আটকে থাকার সম্ভাবনা৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকল বিভাগ৷ মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা৷ শনিবার অতিবৃষ্টির জেরে বিল্ডিংয়ের একাংশ ধসে যায়৷ দমকল আধিকারিকদের তরফে জানানো হয়েছে, ১৩ জনকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে৷

আগামী ২৪ ঘণ্টা মু্ম্বই ও পালঘরে ভারী বৃষ্টিপাতের হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর৷ থানে জেলার ক্ষেত্রে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা৷ ফলে সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলিতে জলমগ্ন পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে৷


মুম্বইয়ে যানজট নতুন কিছু নয়৷ তবে রাস্তা জলমগ্ন হওয়ায় সেই পরিস্থিতি আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে৷ জলমগ্ন একাধিক রেললাইনও৷ জোয়ারের জল ঢুকে পডে়ছে চুনাভট্টি ট্র্যাকেও৷ যার জেরে সেন্ট্রাল, ওয়েস্টার্ন এবং হারবার তিনটি লাইনেই প্রতিটি ট্রেন ১০ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত দেরিতে চলছে৷ জলে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে আন্ধেরি সাবওয়েও৷ নাগাডে় বৃষ্টিতে শোচনীল হাল নাগপুরেও৷ ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে শনিবার নাগপুরের সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে৷ খবরের সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে নাগপুরের জেলাশাসক ডঃ বিপিন ইতাঙ্কর সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, পড়ুয়াদের সুরক্ষার কথা ভেবেই স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে জেলার নীচু এলাকার বহু বাডি়ওএ জলমগ্ন হয়ে পডে়ছে৷

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর প্রদেশের কনৌজে মহরম মিছিলের সময় একটি বাডি়র ছাদ ধসে মৃতু্য হয় এক শিশুর৷ আহত হয়েছেন ১৪ জন৷ সন্ধ্যায় তাজিয়া নিয়ে মহরমের মিছিল চলছিল৷ প্রচুর মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নিয়েছিলেন এই মিছিলে৷ রাস্তার পাশে অনেক মানুষ সেই মিছিল দেখছিলেন৷ হঠাৎ একটি বাডি়র ছাদ ধসে পডে়৷ চাপা পডে় যান অনেকে৷ মৃতু্য হয় এক শিশুর৷ আহত হয়েছেন ১৪ জন৷ তাঁদের সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ ৫ জুলাই অসমের গুয়াহাটিতে ভয়াবহ ভূমিধসে বাডি় ভেঙে পডে় মৃতু্য হয় ৩৫ বছরের এক মহিলা ও তাঁর ১৪ বছরের ছেলের৷