এপ্রিলেই তাপমাত্রা ছাড়াবে ৪০ ডিগ্রি, গরমের সব রেকর্ড ভাঙবে ২০২৪

দিল্লি, ২ মার্চ– দিনে কিছুটা গরম অনুভূত হলেও রাতের দিকে হালকা শীতের আমেজ এখনও বর্তমান৷ এ হেন পরিস্থিতিতে মার্চের শুরু থেকেই ‘এল নিনো’র দাপটের আশঙ্কার কথা জানিয়ে রাখল মৌসম ভবন৷ গ্রীষ্মকাল পড়লেই ‘এল নিনো’র দাপটে ভুগবে গোটা দেশ৷ চলতি বছর স্বাভাবিকের থেকে তাপমাত্রা বেশি থাকবে, এমনই মনে করছেন আবহবিদেরা৷ শুধু তা-ই নয়, তীব্র তাপপ্রবাহের আশঙ্কাও করা হচ্ছে৷

গত বছরই পরিবেশ বিজ্ঞানীরা ‘এল নিনো’র দাপটের কথা বলেছিলেন৷ তাঁদের পূর্বাভাস ছিল, চলতি বছরে তাপমাত্রা রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পাবে৷ সেই পূর্বাভাসই সত্যি হতে চলেছে৷ আবহবিদদের কথায়, দক্ষিণ ভারতেই সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে ‘এল নিনো’৷ তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্ণাটকের কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের দাপট থাকবে৷ শুধু দক্ষিণ ভারত নয়, ওডি়শা এবং মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যেও তাপমাত্রা বাড়বে৷ কোথাও কোথাও এপ্রিল মাসেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াবে বলেও আশঙ্কাও করা হচ্ছে৷

মৌসম ভবন সূত্রে খবর, মার্চ মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত ভারতের বেশির ভাগ অংশে স্বাভাবিকের থেকে বেশি তাপমাত্রা থাকবে৷ মার্চ মাসে উত্তর এবং মধ্য ভারতে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে৷ তবে চলতি মাসে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ বৃষ্টির পরিমাণ আনুমানিক গডে় ২৯.৯ মিলিমিটার হবে৷ তবে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও বেশি থাকবে৷


মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল মৃতু্যঞ্জয় মহাপাত্র সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গেও মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকারই সম্ভাবনা রয়েছে৷ রাতের দিকে গরম বাড়বে৷’ গত মরশুমে ‘এল নিনো’র ভয়াবহতা দেখেছে ভারত৷ আবহবিদদের কথায়, গত বছরের থেকে এ বছর তাপমাত্রা আরও বাড়বে৷

অতীতে ২০১৬ সাল ছিল বিশ্বের উষ্ণতম বছর৷ ‘এল নিনো’র জেরে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল ভারতকেও৷ ২০২৩ সালেও সেই দাপট দেখা গিয়েছে৷ মনে করা হচ্ছে, ২০২৪ সাল গরমের সব রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে৷