ধর্ষণ ও খুনের মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ঘটনার সময়ে নাবালক ছিল কিনা তা নিয়ে আগামিকাল থেকে শুনানি চালু করা হবে। বাদী পক্ষের তরফে দ্রুত শুনানি করার আবেদন করা হলেও আদালতের তরফে আবেদনটি খারিজ করে দেওয়া হয়।
জম্মু ও কাশ্মীর আদালতের তরফে বলা হয়েছে, কোনও দ্রুত শুনানি করা হবে না, পূর্ব নির্ধারিত দিন অর্থাৎ সােমবার থেকে শুনানি করা হবে। আট বছরের যাযাবর বালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় অভিযুক্ত ঘটনার সময়ে আদৌও নাবালক ছিল কিনা তা নিয়ে শুনানি শুরু হবে।
জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের তরফে নাবালকের দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। আগামিকাল কাঠুয়ায় জুভেনাইল জাস্টিস বাের্ডে শুনানি চালু করবে। জুভেনাইল জাস্টিস বাের্ড ১৫ জুলাই থেকে শুনানি চালু করতে চাইলে অপরাধ দমন শাখার তরফে বলা হয়েছিল, তারা শুনানির জন্য প্রস্তুত নয়, কারণ অভিযুক্ত নাবালক কিনা তা এখনও ঠিক হয়নি।
অপরাধ দমন শাখার তরফে বলা হয়েছিল, গত বছর পুলিশ মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিল। মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে কাঠুয়া ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তকে নাবালক বলে ঘােষণা করা হয়েছিল।
আবেদনের শুনানি করতে গিয়ে বিচারপতি ধীরজ সিং ঠাকুর বলেন, ‘বিষয়টি নির্দিষ্ট দিনে বিবেচনা করা হবে’। ৫ আগস্ট বিষয়টি নিয়ে শুনানি করা হবে। অপরাধদমন শাখার তরফে হাইকোর্টে দ্রুত শুনানি করার আবেদন করা হয়েছিল, কেননা জুভেনাইল জাস্টিস বাের্ড ৮ জুলাই থেকে অভিযুক্ত নাবালকের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে।
বাের্ডের তরফে অপরাধ দমন শাখাকে সংশ্লিট বিষয়ে তথ্য প্রমাণ পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অপরাধ দমন শাখার আবেদনে বলা হয়েছিল, এই মুহুর্তে যদি জুভেনাইল বাের্ডে শুরু হওয়া বিচার প্রক্রিয়া স্থগিত না করা যায়, তাহলে সংশােধিত আবেদন পেশ করা হবে।
১৫ জুলাই সরকার পক্ষের বিশেষ আইনজীবী জুভেনাইল বাের্ডকে জানিয়েছিল, অপরাধ দমন শাখার আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট এখনও কোনও নির্দেশ দেয়নি। খুব শীঘ্র নির্দেশ দেবে। কাঠুয়া কোর্টে অভিযুক্তের নাবালক হওয়ার দাবিকে গ্রহণ করেছে।
অপরাধ দমন শাখা কাঠুয়া আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিল। অপরাধ দমন শাখা প্রামাণ্য নথি হিসেবে জম্মু সরকারি মেডিকেল কলেজের মেডিকেল বাের্ডের রিপাের্ট পেশ করেছে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তের বয়স ঘটনার সময় ১৯ বছরের কম ছিল না, ২১ বছরের বেশিও ছিল না।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার শুনানি পাঠানকোট দায়রা আদালতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। পাঠানকোট দায়রা আদালত চলতি বছর ১০ জুন তারিখে সানজি রামকে দোষী সাব্যস্ত করে। স্পেশ্যাল অফিসার দীপক খাজুরিয়া, পরভেশ কুমারকে যাবজ্জীবনের শাস্তি দেয়।
১০ জুলাই মেয়েটির বাবা পাঞ্জাব ও হরিয়ানা আদালতে গিয়ে অভিযুক্তদের কঠিনতম শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান। সানজি রাম, খাজুরিয়া ও কুমারকে প্রাণদন্ড দেওয়ার আর্জি করেন।