উপকারের থেকে ক্ষতি বেশি টুথব্রাশে!  

সকাল আর রাতে নিয়ম করে দাঁত মাজছেন৷ এটুকু নিশ্চয়তা পাওয়া গেলো আপনার দাঁত সুস্থ থাকবে৷ নিজেদের সন্তানদেরও শেখাচ্ছি সকাল-সন্ধ্যা দু’বার ভালো ভাবে ব্রাশ করার কথা৷ কিন্ত্ত একবারও কি ভেবে দেখেছেন আপনার টুথব্রাশ থেকে দেহে অন্যান্য রোগ ছড়াতে পারে?
চলুন জেনে আসি সতর্কতাগুলো:
টুথব্রাশে প্রচুর মাইক্রোঅর্গানিজমের বাস৷ বিশেষত মুখের ভেতরেই ব্রাশ করার সময়ে সেগুলো থাকতে পারে৷ ব্রাশ করার পর এই জীবাণুগুলো ব্রাশে স্থানান্তরিত হয়৷ বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু না শুরুতে৷ তবে ব্রাশ এক বা দুই মাস পুরাতন হলেই বদলে ফেলা ভালো৷
দাঁত মাজার সময় বিশেষত ইলেকট্রিক টুথব্রাশ ব্যবহারের সময় জীবাণু আপনার মাড়িতে প্রবেশ করতে পারে৷ তাই ব্রাশ ব্যবহারে হতে হবে সতর্ক৷ অধিকাংশ টয়লেটে সিংক কিংবা বেসিনের পাশে টয়লেট ফ্লাশ অবস্থান করে৷ আপনার ব্রাশ যেন সেদিকে না রাখা হয় খেয়াল রাখবেন৷ যখনই আপনি ফ্লাশ করবেন তখনই বাতাসে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া মুক্ত হয়৷ আর ব্রাশে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করা মোটেও ভালো কিছু নয়৷ অনেকেই টুথব্রাশ হোল্ডার ব্যবহার করে থাকেন৷ বিশেষজ্ঞরা জানান, টুথব্রাশ হোল্ডার থেকে ব্রাশে ক্ষতিকর জীবাণু প্রবেশ করতে পারে৷
দাঁত মাজার পর টুথব্রাশ ভালোভাবে শুকিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন৷ দাঁত মেজেই টুথব্রাশ কোনায় রেখে দেবেন না৷ এমনকি টুথব্রাশ সোজা করে রাখার চেষ্টা করুন৷ অনেকেই টুথব্রাশ পাশ ফিরিয়ে শুইয়ে রাখেন৷ এটি মোটেও ভালো কিছু নয়৷ পাশাপাশি একাধিক টুথব্রাশ রাখবেন না৷ কারণ এক টুথব্রাশ থেকে আরেকটিতে জীবাণু প্রবেশ করতে পারে৷
দাঁত মাজার পর টুথব্রাশ অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়ালে ডুবিয়ে রাখলে কিছু ব্যাকটেরিয়া দূর করা সম্ভব৷