চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ পদের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর জেনারেল বিপিন রাওয়াত বলেন, আমার মাথা খানিকটা হাল্কা লাগছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধানের পদ থেকে অবসর গ্রহণের একদিন আগে জেনারেল বিপিন রাওয়াতকে দেশের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ করা হয়। তিনি দেশের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ হলেন।
কয়েকদিন আগে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ পদটি তৈরি করা হয়েছে, যা অস্ত্র ক্রয় সংক্রান্ত ব্যাপারে কেন্দ্রের একক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবে। শুধু তাই নয়, ভারতীয় সেনা, বায়ুসেনা, নৌসেনার মধ্যে আরও ভালাে সংযােগ রক্ষার দিকে নজর দেবে।
সাউথ ব্লকের অফিসের বাইরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার মাথা খানিকটা হালকা অনুভূতি হচ্ছে কারণ টানা একচল্লিশ বছর ধরে গােরখা টুপি পড়তে অভ্যস্ত হয়ে গেছিলাম। এখন টুপিটা আর পড়তে হবে না, খুলে ফেলেছি’। নতুন টুপির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘যে টুপিটা আমি পড়ে রয়েছি, তার অর্থ আমরা এখন নিরপেক্ষ। প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান বা সিডিএস একটি নিরপেক্ষ পদ, যিনি পদাদিকারী থাকবেন লক্ষণীয়ভাবে তাঁকে নিজের পদে যেমন নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে, ঠিক তিন বাহিনীর প্রতি নিরপেক্ষ থাকতে হবে।
তাঁর কথায়, ‘প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানকে রিপাের্ট করবেন তিন বাহিনীর প্রধান। তিন বাহিনীর মধ্যে প্রধান হিসেবে পদটিকে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান পদের চিহ্ন হিসেবে থাকবে তিন বাহিনীর অংশ–ঈগল(বায়ুসেনা), দুটো তলােয়ার (সেনা বাহিনী), নােঙর (নৌসেনা) ও একটি মালা। প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান হিসেবে সবসময় প্রধানমন্ত্রী মােদির সঙ্গে যােগাযােগ রক্ষা করতে হবে।
১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময় সেনা পারফরমেন্স খতিয়ে দেখার দায়িত্বে থাকা কমিটি প্রথমে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ পদের সুপারিশ করেছিল। মােদি প্রশাসন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ পদ তৈরি করার পাশাপাশি ওই পদাধিকারির দায়িত্ব কি হবে তাও স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়। ভারতীয় সেনা বাহিনী, বায়ুসেনা ও নৌবাহিনীর চারটি স্টারযুক্ত অফিসাররা চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ হতে পারবেন।