হাথরসের দলিত তরুণীর মৃত্যুর দায় তার পরিবারের ওপর চাপিয়ে দিল অভিযুক্তরা। নিজেদের নির্দোষ দাবি করে চার অভিযুক্ত জানায়, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযােগ দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও যােগ নেই। মেয়েটি তার পরিবারের হাতেই খুন হয়েছে।
বুধবার হাসরথের পুলিশ সুপারের উদ্দেশ্যে তারা একটি চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে সন্দীপ, রামু, লবকুশ ও রবির বুড়াে আঙুলের ছাপ রয়েছে। উচ্চবর্ণের এই চার যুবকের বিরুদ্ধে হাথরসের ১৯ বছরের তরুণীকে ধর্ষণের অভিযােগ উঠেছে। এই চারজনের মধ্যে সন্দীপই মূল অভিযুক্ত।
ঘটনার বিশদ উল্লেখ করে সন্দীপের দাবি, ১৯ বছরের ওই তরুণীর যৌন নিগ্রহের ঘটনায় সে যুক্ত নয়। চিঠিতে সে স্বীকার করে হাসরথের তরুণী তার পরিচিত ছিল। ওই তরুণীর সঙ্গে তার যােগাযােগও ছিল। দলিত তরুণীর মৃত্যুর জন্য উল্টে তার মা ও দাদাকে দায়ী করেছে অভিযুক্ত যুবক। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সে জানায়- মিথ্যে মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসানাের চেষ্টা করছে পরিবারটি।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, হাথরসের মূল অভিযুক্তের সঙ্গে তরুণীর যােগাযােগ ছিল। ৬ অক্টোবর আমরা তা জানিয়েছি। ওরা দু-জনে বন্ধু ছিল। ফোনে একে অপরের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলতাে। তদন্তের উল্লেখ করে পুলিশ দাবি করে, সন্দীপ নির্দিষ্ট একটি নম্বরে ফোন করে ওই পরিবারের সঙ্গেও কথা বলত।
২০১৯ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২০২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ৫ ঘণ্টা নির্দিষ্ট ওই নম্বরে কথা হয়েছে। যে নম্বরটির কথা পুলিশ বলছে, সেটি ওই তরুণীর দাদার নামে রেজিস্টার্ড। যদিও হাথরাস নির্যাতিতার দাদা স্বীকার করতে চাননি অভিযুক্ত সন্দীপের সঙ্গে তার কথা হত।