উত্তরপ্রদেশের হাথরসে দলিত তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঠিক এক মাসের মাথায় আরও এক যৌন লালসার ছবি সামনে এল। মঙ্গলবার ধর্ষণের শিকার হয় মাত্র চার বছরের এক শিশুকন্যা। ঘটনাটি ঘটেছে হাথরসের সাসনিতে। ধর্ষক শিশুটিরই এক আত্মীয়। ঘটনাচক্রে গতকালই হাথরসের কাণ্ডর এক মাস পূর্ণ হয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর চার উচ্চবর্ণের যুবকের গণলালসার শিকার হয়েছিলেন হাসরথের ১৯ বছরের তরুণী। পৈশাচিক অত্যাচারের জেরে ২৯ সেপ্টেম্বর দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। সেই মামলার তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই। সার্কেল অফিসার রুচি গুপ্তা জানিয়েছেন- শিশুটির ধর্ষককে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। একটি ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে।
শিশুটির কাকা জানান, মঙ্গলবার ও বাড়ির বাইরেই খেলছিল। সে সময় এক আত্মীয় অরবিন্দ সকলের নজর এড়িয়ে শিশুটিকে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। বাচ্চাটি বাড়ি ফিরলে তার মধ্যে কিছু অস্বাভাবিকতা সকলের নজরে পড়ে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। বাচ্চাটির কাকা এরপরেই থানায় অভিযােগ দায়ের করেন। অভিযােগপত্রে ধর্ষক হিসাবে অরবিন্দের নাম দেওয়া হয়। অরবিন্দের সঙ্গে পরিবারটির আত্মীয়তা রয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর হাথরসের দলিত তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনায় গােটা দেশে আলােড়ন পড়ে যায়। দিল্লির নির্ভয়া মামলার মতােই চাঞ্চল্য তৈরি হয় হাথরসের ঘটনাতেও। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযােগ ওঠে, তারা অপরাধীদের আড়াল করতে চাইছে। ১৯ সেপ্টেম্বর পরিবারের সম্মতি ছাড়াই তরুণীর মৃতদেহ জোর করে দাহ করিয়ে দেয় যােগী আদিত্যনাথের সরকার। এর ফলে সরকার আরও বিপাকে পড়ে। বিভিন্ন মহল থেকে অভিযােগ করা হয়, পরিবারের অনুমতি না নিয়ে দাহ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনই বেঞ্চও এই ঘটনায় সুয়াে মােটো মামলা করে যােগী প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের তলব করে। সেই মামলার শুনানি ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। সােমবার প্রথম শুনানির দিন আদালত যােগী প্রশাসনকে ভৎসনাও করেছে।