হাসিনা ও মোদির আমলে দু’দেশের সোনালী অধ্যায় শুরু হয়েছে: ভি মুরালিধরন

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। (File Photo: IANS/PIB)

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেকার দৃঢ় সম্পর্কের সোনালী অধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি মুরালিধরন। গত সোমবার ‘বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাণিজ্য; সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক ডিজিটাল সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

এই সম্মেলনের আয়োজন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই)। ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি মুরালিধরনের পাশাপাশি এখানে অংশ নেন দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহম্মদ ইমরান, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ।

ডিজিটাল এই সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেশন অব চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, ভারতের এক্সিম ব্যাঙ্কের এমডি ডেভিড রাজকুইনহা, সিআইআইয়ের মহাপরিচালক চন্দ্রজিৎ ব্যানার্জি, ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট আব্দুল মাতলুব আহমেদ।


সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি মুরালিধরন বলেন, ২০১৪ সাল থেকে দুই দেশের সম্পর্কের খুব উন্নয়ন ঘটেছে। এই সময় থেকে দুই দেশের স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন হয়েছে, সমুদ্র বিরোধ নিষ্পত্তি হয়েছে, কানেক্টিভিটি চুক্তি সই হয়েছে।

একই সঙ্গে বাংলাদেশে ১,০৭৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রফতানি, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ৭.৪ মিলিয়ন ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ৪০টিরও বেশি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে ভারত। তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারিকালে দুই দেশ সহযোগিতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারে।

সম্মেলনে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত সংযোগ, নন্দী, রাস্তা এবং অন্যান্য সংযোগের কারণে দুই দেশের জন্য যেই সুযোগ রয়েছে তার সর্বোচ্চটা উভয় দেশের জন্য কাজে লাগানো উচিত। সেই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উভয় দেশ সহ অবস্থানের বিষয়েও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে জানান তিনি।

ভারতের নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহম্মদ ইমরান বলেন, বর্তমানে সবদিক থেকেই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সর্বোচ্চ শিখরে রয়েছে। এই করোনা পরিস্থিতি সামলাতে উভয় দেশকে কাছাকাছি থেকে কাজ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।